নারী ও শিশু ডেস্ক: কলা, ছোলা আর চিনাবাদাম দিয়ে তৈরি খাবার অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে বলে এক গবেষণায় জানা যায়। বাংলাদেশে চালানো এক মার্কিন গবেষণায় জানা যাচ্ছে, এসব খাদ্য শিশুদের পাকস্থলীতে স্বাস্থ্যবর্ধক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।
শিশুর হাড়, মস্তিষ্ক এবং শারীরিক বিকাশে এই খাবারগুলো খুবই কার্যকর বলে গবেষকরা জানতে পেরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বি-এর বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই গবেষণা চালান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সারা বিশ্বে ১৫ কোটি শিশু এখন অপুষ্টিতে ভুগছে। এসব শিশু যেমন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়, আকারে ছোট হয়, তেমনি এদের পাকস্থলীতে যে স্বাস্থ্যবর্ধক ‘ভালো’ ব্যাকটেরিয়া থাকে তাদের সংখ্যাও থাকে কম।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, দেহের দুর্বলতার জন্যও এসব ব্যাকটেরিয়ার অভাব অনেকাংশে দায়ী। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশের সুস্থ শিশুদের পাকস্থালীতে যেসব প্রধান ব্যাকটেরিয়া থাকে তার পরীক্ষা করেন। এরপর ইঁদুর এবং শূকরের ওপর পরীক্ষা করে দেখেন যে কোন ধরনের খাবার দিলে এসব ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
এরপর এক মাসব্যাপী এক পরীক্ষায় অপুষ্টিতে ভোগা ৬৮টি বাংলাদেশী শিশুকে বিভিন্ন ধরনের ডায়েট খেতে দেন। শিশুদের অপুষ্টি কেটে গেলে তারা দেখেন এক ধরনের ডায়েট তাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। আর তা হলো কলা, সয়া, চিনাবাদামের গুড়া আর ছোলার গুড়া দিয়ে তৈরি বিশেষ মিশ্রণ।
এই খাদ্য ব্যবহারে শিশুদের হাড়ের বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায় বলে গবেষণার ফলাফলে জানা যায়।