আশেকে রাসুল মাসুদ করিম
পৃথিবী সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.) পর্যন্ত মানবজাতির হেদায়েতের জন্য মহান রাব্বুল আলামিন ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। জগতের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হযরত রাসুল (সা.) সেই শিক্ষা লাভ করেছিলেন দীর্ঘ ১৫ বছর হেরা গুহায় মোরাকাবার মাধ্যমে। স্বয়ং মহান প্রভু তাঁকে ঐশী জ্ঞানের শিক্ষা দিয়েছিলেন। যে জ্ঞানের সাহায্যে তিনি বর্বর আরব জাতিকে আদর্শ জাতিতে পরিণত করেছিলেন। বর্তমান যুগে সে শিক্ষা দিচ্ছেন কামেল অলী-আল্লাহ্গণ। তাঁরা এ শিক্ষা কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে দেননি, বরং আদর্শ অনুসরণ এবং আত্মিক প্রভাবের মাধ্যমে, তাসাউফের জ্ঞানের মাধ্যমে দিচ্ছেন। মহান রাব্বুল আলামিনের প্রেরিত নবি-রাসুলগণের মধ্যে কেউই কোনো স্কুল, কলেজ কিংবা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে নবি-রাসুল হননি। মানবতার মহান শিক্ষক হযরত রাসুল (সা.)-এর ওফাতের মধ্য দিয়ে নবুয়তের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ হযরত রাসুল (সা.)-এর সিরাজাম মুনিরার ধারক-বাহক হয়ে হেদায়েতের সুমহান দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
প্রকৃতপক্ষে, বর্তমান বিশ্বের প্রচলিত তাসাউফ বিবর্জিত যে ধর্ম মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত রয়েছে, তা এজিদি ইসলাম নামে আখ্যায়িত। তাই দেখা যায়, অলী-আল্লাহ্গণ হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শ সহবতের শিক্ষা, জাবালে নুরের শিক্ষা মোহাম্মদী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিজেদের তত্ত্বাবধানে খানকাহ প্রতিষ্ঠা করে ধর্ম শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাসাউফ শিক্ষা ছাড়া এবং কামেল-মোকাম্মেল অলী-আল্লাহ্গণের সাহচার্য ব্যতীত প্রকৃত ধার্মিক হওয়া সম্ভব নয়। হযরত ইমাম গাজ্জালি (রহ.), হযরত জালাল উদ্দিন রুমি (রহ.), হযরত ইবনুল আরাবি (রহ.)-এর ন্যায় প্রমূখ পণ্ডিত এবং সুফি সাধকগণের জীবন এরই সুস্পষ্ট প্রমাণ।
তাসাউফ এমন এক শিক্ষা যা মানুষকে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেম শিখায় এবং চরিত্রবান করে আল্লাহর প্রতিনিধিতে পরিণত করে। তাসাউফ সাধনার মাধ্যমে মানুষের অন্তরে এক প্রকার নুর প্রজ্বলিত হয় যা যুগে যুগে নবি-রাসুলগণের সিনা-ব-সিনা হয়ে মানুষের অন্তরে পতিত হয়ে মানুষকে আল্লাহ্ময় তথা আল্লাহ্ ওয়ালা বানায়।
খোলাফায়ে রাশেদিনের সময় থেকেই মোহাম্মদী ইসলাম চক্রান্তের বেড়াজালে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। এর ফলশ্রুতিতে হযরত আবু বকর (রা.) ব্যতীত বাকী খোলাফায়ে রাশেদিনের তিনজনকে নির্মমভাবে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু-এর শাহাদত বরণ এবং কূটকৌশলে আমির মাবিয়ার ক্ষমতা দখল এবং কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনা। কারবালায় হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) শাহাদতের পর এজিদের মাধ্যমে উমাইয়া শাসনের ৮৯ বছরের এবং ৫০৮ বছরের আব্বাসিয় শাসনের ভিত রচিত হয়। এ সময় আরব মুলুকে অসংখ্য অলী-আল্লাহ্-সহ শরিয়ত ও তরিকতের বহু ইমামের আবির্ভাব হয়। বেশিরভাগ অলী-আল্লাহ্ ও ইমাম তাসাউফ বিরোধী অত্যাচারী এজিদ মতাদর্শের শাসকদের হাতে নির্মমভাবে অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত, নিগৃহীত হয়েছেন। অনেকে শাহাদত বরণও করেছেন। অলী-আল্লাহ্গণ যেহেতু হযরত রাসুল (সা.)-এর সিরাজাম মুনিরার ধারক এবং বাহক সেহেতু তাঁরা এজিদের মনগড়া ধর্ম এজিদি ইসলামের পরিবর্তে হযরত রাসুল (সা.) কর্তৃক প্রচারিত হেরাগুহা থেকে উৎসারিত নুরের ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। এতে করে অলী-আল্লাহ্গণের সঙ্গে উমাইয়া এবং আব্বাসিয় শাসকদের সংঘাত শুরু হয়। আদর্শগত এ সংঘাত ছিল মোহাম্মদী ইসলামের সাথে এজিদি ইসলাম তথা সত্যের সাথে মিথ্যার সংঘাত। এমতাবস্থায় শাসক গোষ্ঠীর নির্যাতনের মাত্রা যখন বৃদ্ধি পেতে লাগলো, তখন অলী-আল্লাহ্গণ হযরত রাসুল (সা.)-এর হেরা গুহার নুরকে হৃদয়ে ধারণ করে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং খানকাহ্ শরীফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাসুলের আদর্শ প্রচারের কাজ চালাতে থাকে। এভাবে অলী-আল্লাহ্গণের শিক্ষা কেন্দ্র খানকাহর মাধ্যমে মোহাম্মদী ইসলামের আদর্শ প্রচার ও প্রসার হয়।
খানকাহ্ ফার্সি শব্দ। ইসলামি বিশ্বকোষ ১ম খণ্ডে উল্লেখ আছে যে, মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন দেশে ‘খানকাহ্’ শব্দের কিছু প্রতিশব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। খানকাহ্ যে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ঠিক একই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান সমূহ ‘রাবিতা’, ‘রিবাত’ ও ‘যাবিয়া’ নামে পরিচিত। রাবিতা বলতে ঐ ঘরকে বুঝায় যেখানে সাধু পুরুষ সংসার ত্যাগ করে বাস করতো এবং তাঁর চতুর্দিকে শিষ্য ও ভক্তগণ সমবেত হতো। যাবিয়া প্রকৃত অর্থে দালানের খোপ, ছোট মসজিদ বা উপাসনা প্রকোষ্ঠ অর্থে ব্যবহৃত হয়। যাবিয়া ও খানকাহ্ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইবনে মারসুক বলেন, তাঁর মোর্শেদ আবু আল হাসান যে, যাবিয়া তৈরী করেন তাই খানকাহ। কোনো কোনো ঐতিহাসিক মদিনায় প্রতিষ্ঠিত মসজিদটিকে যাবিয়া হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। কারণ সংসার ত্যাগ করে যে সকল সাহাবি মক্কা থেকে মদিনায় গমন করেছিলেন শুধু তারাই থাকতেন না, সেখানে হযরত রাসুল (সা.) ধর্মীয় আলোচনা করতেন এবং আহলে সুফফাগণের সুফি জীবনের কেন্দ্রভূমি হিসেবে স্বীকৃত ছিল। সেই মতে মসজিদে নববি হিসেবে সে স্থানটি আজ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানগণের নিকট পরিচিত। ঐতিহাসিকগণের কারো কারো মতে, ঐ স্থানটি (গৃহ) যাবিয়া বা মুসলমানদের সর্বপ্রথম খানকাহ্। ইবনে বতুতা ইরাক ও পারস্যের বহু খানকাহর কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বহু দেশে বহু সুফির সাক্ষাৎ লাভ এবং খানকাহতে রাত্রি যাপনের কথা উল্লেখ করেছেন।
এই বাংলা-ভারত উপমহাদেশে কোনো নবি-রাসুলের আবির্ভাব ঘটেনি। উপমহাদেশে অলী-আল্লাহ্গণের মাধ্যমেই হযরত রাসুল (সা.)-এর ইসলামের আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অলী-আল্লাহ্গণের প্রত্যেকেই সুদূর আরব দেশসমূহ হতে এদেশে আগমন করেছেন এবং খানকাহ নির্মাণের মাধ্যমে ইসলামের আদর্শ সমাজে তুলে ধরেছেন। ভারত বর্ষে মুসলিম ধর্ম নেতা অলী-আল্লাহ ও পীর-মাশায়েখ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে আগমন করেছেন, তখন এদেশে তেমন কোনো ইবাদতখানা ছিল না। তখন অলী-আল্লাহ্গণ ইবাদত করার জন্য খানকাহ্ ব্যবহার করতেন। খানকাহ্ প্রাথমিক অবস্থায় ইবাদত বন্দেগি ও বিধর্মীদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁঁছানোর কেন্দ্রস্থল হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। উপমহাদেশে হযরত খাজা মঈন উদ্দিন চিশতি আজমেরি (রহ.) আজমিরে পর্দাপণ করে আনা সাগরের তীরে খানকাহ্ তৈরী করে হেদায়েতের কাজ শুরু করেন। এভাবে খাজা নিজাম উদ্দীন আউলিয়া দিল্লিতে, বাবা আদম শহিদ (রহ.) বিক্রমপুরে, শাহ সুলতান মাহী সাওয়ার বলখী বগুড়ার মহাস্থানগড়ে, শাহ মখদুম (রহ.) রাজশাহীতে, হযরত শাহজালাল (রহ.) সিলেট, আবু তাওয়াহ (রহ.) সোনারগায়ে, শাহ বদর (রহ.) চট্টগ্রামে, শাহ দৌলা রাজশাহী জেলার বাঘায়, হযরত বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.) ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রামে খানকাহ্ স্থাপন করে ধর্ম প্রচার করেন। উপমহাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আরো দেখা যায় যে, যে সময় আওলিয়াগণ ধর্ম প্রচারে এদেশে আগমন করেছিলেন, তখন এ অঞ্চলে মুসলমানদের ইবাদতের জন্য কোনো উপসনালয় ছিল না। আওলিয়ায়ে কেরাম ইবাদতের স্থান হিসেবে খানকাহ্ ব্যবহার করতেন। দ্বীন ইসলামের যাবতীয় কাজ খানকাহ্ হতে পরিচালনা হতো। সময়ের ব্যবধানে ‘রাবিতা’ ও ‘যাবিয়ায়’ এক সময় মুসলমানগণের জেহাদি সৈন্য ছাউনি, পরবর্তীতে সুফিগণের ধ্যান সাধনার কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মদীনার প্রথম খানকাহ্ হতে নামাজ, রাজ্য শাসন ও দৈনন্দিন সমস্যা পরিচালিত হতো। আজ সে স্থান শুধু নামাজের জন্য উন্মুক্ত। এ উপমহাদেশে খানকাহ্গুলোতে প্রাথমিক অবস্থায় ইবাদত-বন্দেগি ও বিধর্মীদের নিকট ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
বিংশ শতাব্দীতে খানকাহর কার্যক্রম কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে শুধু ধ্যান-সাধনা ও ইবাদতের কেন্দ্রস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইসলামী বিশ্ব কোষের (প্রথম খণ্ড) আলোচনায় লক্ষ্যণীয় যে, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বা অন্য কেউ সুফি সাধকদের বসবাস ও সাধনার জন্য খানকাহর ব্যবস্থা করতেন। এই সকল খানকাহ্ নামাজ বা জিকিরের উপযোগী করে নির্মাণ করা হতো। আবার সুফি সাধকগণ বৃহদাকার খানকাহ্ নির্মাণ করতেন যাতে তাঁর শিষ্যগণ বহুলাংশে অবস্থান করতে সক্ষম হতো। ৭০৬ সালে নির্মিত এমন দুটি খানকাহ্ সম্পর্কে জানা যায় যে, এতে যথাক্রমে ৪০০ এ ১০০ সুফির বসবাসের ব্যবস্থা ছিল। ভ্রমণকালে ইবনে বতুতাও বিভিন্ন খানকাহতে অবস্থান করেছেন। ৭৮০ সনে সালাহউদ্দীন কর্তৃক নির্মিত খানকাহতে একটি মিনার যোগ করে দেওয়া হয়, জুমার জন্য মসজিদ নির্মাণ করতেন। ইসলামের মূল ভিত্তি তাসাউফ, যা শরিয়তের শিক্ষার পাশাপাশি মোরাকাবা-মোশাহেদা ও চরিত্র গঠনের মাধ্যমে মানুষকে আল্লাহর আশেকে পরিণত করে। জাবালে নুর (নুর পর্বত)-এর হেরা গুহায় ধ্যান সাধনার মাধ্যমে হযরত রাসুল (সা.) যে মহাশক্তির সন্ধান লাভ করেছিলেন, আওলিয়ায়ে কেরাম ধ্যান সাধনার মাধ্যমে সেই শক্তি বলে চরিত্রবান ও খাঁটি মুসলমান হওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এই শিক্ষা অর্জনের জন্যই নবি করিম (সা.) সুদুর চীনে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
হযরত রাসুল (সা.) হতে শুরু করে পূর্বতন নবিগণ ও পরবর্তী আওলিয়ায়ে কেরাম কোনো মাদ্রাসায় শিক্ষা লাভ করেননি। তাঁরা আল্লাহর জ্ঞানে জ্ঞানী ছিলেন। মূলত খানকাহর শিক্ষাই চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা। আরববাসিদের চরিত্রবান করার জন্যই হযরত রাসুল (সা.)-এর আগমন ঘটেছিল। তাসাউফের শিক্ষা মানুষকে উত্তম চরিত্রের অধিকারী করে এবং আল্লাহর আশেকে পরিণত করে। এছাড়া বাংলা-ভারতে জন্মগ্রহণকারী অসংখ্য অলী-আল্লাহগণ উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে খানকাহ্ শরীফ তৈরী করে মোহাম্মদী ইসলামের অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রেখেছেন। উপমহাদেশের ইতিহাস তালাশ করলে দেখা যায়, আওলিয়ায়ে কেরামই এ উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন। বাংলা-ভারতে আজ যারা মুসলমান তাদের পূর্বপূরুষগণ অলী-আল্লাহ্গণের নিকট গিয়ে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছে। অলী-আল্লাহ্গণ প্রত্যেকেই খানকাহর মাধ্যমে ধর্ম প্রচারের যাত্রা শুরু করেন।
এই কথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা যায় যে, এই উপমহাদেশে হযরত রাসুল (সা.)-এর মোহাম্মদী ইসলামের প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে অলী-আল্লাহ্গণের মাধ্যমে। মোহাম্মদী ইসলামের প্রচার ও প্রসারের পথযাত্রা শুরু হয়েছে খানকাহ্ হতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের অভ্যুদয় ঘটেছে খানকাহ্, যাবিয়া, রাবিতা ও রিবাতের মাধ্যমে। খানকাহ শরীফ যুগে যুগে হযরত রাসুল (সা.)-এর ইসলাম প্রচার ও প্রসারের মূল ভিত্তি। বেলায়েতের শ্রেষ্ঠ যুগ, একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দেদ মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান রাসুলের সেই সহবতের ইসলাম, মোরাকাবার ইসলাম তথা মোহাম্মদী ইসলাম জগৎবাসীর নিকট তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় প্রায় ২ শতাধিক খানকাহ্ শরীফ ও সহস্রাধিক আশেকে রাসুল জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এসব খানকাহ্ শরীফের মাধ্যমে তিনি মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার করে যাচ্ছেন। যার ফলশ্রুতিতে আজকে অশান্তময় পৃথিবীতে শান্তির পতাকাবাহী কোটি কোটি আশেকে রাসুল সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া এ বরেণ্য মহামানব বিশ্ব আশেকে রাসুল সংস্থা নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যা সারা বিশ্বের মানুষকে হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শের পতাকা তলে সমবেত করতে তথা মোহাম্মদী ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় লাভের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
যেহেতু মোহাম্মদী ইসলাম হেরা গুহা থেকে উৎসারিত মোরাকাবার ইসলাম সেহেতু খানকাহ্ শরীফের অলী-আল্লাহ্গণের অনুসারীরা তাদের মোর্শেদের নির্দেশ মোতাবেক মোরাকাবা ও মোশাহেদার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর সাথে যোগাযোগ করে বিপদ-আপদ, বালা-মছিবত থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে এবং ইহলৌকিক ও পরলৌকিক কল্যাণের পথ সুগম করতে পারে।
খানকা শরীফের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পড়ে ভালো লাগল