অলৌকিক!

3
430

অলৌকিকভাবে বৃষ্টি

হযরত সুমামা ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা.)-এর সূত্রে হযরত ইবনে সা’দ (রা.) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন- ‘‘একদা গ্রীষ্মের দিনে হযরত আনাস (রা.)-এর বাগানের মালী (বেতনের বিনিময়ে বাগানের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি) এসে তাঁর কাছে অনাবৃষ্টি ও মাটির তৃষ্ণার্ত হওয়ার কথা অভিযোগের সুরে বললো। হযরত আনাস (রা.) ওযু ও নামাজ আদায় করে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলেন। এরপর মালীকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি আকাশে মেঘ দেখতে পাচ্ছ? সে বললো, না। হযরত আনাস (রা.) ভিতরে গিয়ে আবার নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করলেন। এভাবে ৩য় বা ৪র্থ বার মালীকে বললেন, এবার গিয়ে দেখ। মালী এসে বললো, আকাশে পাখির পালকের ন্যায় মেঘ দেখা যাচ্ছে। হযরত আনাস (রা.) পুনরায় নামাজ আদায় করে প্রার্থনা করলেন, এবার মালী এসে জানালো সমস্ত আকাশ মেঘে ছেয়ে গেছে এবং মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।’’ (হায়াতুসসাহাবা- ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা-৪৬৮)

এমনিভাবে নবুয়তের পরবর্তী বেলায়েতের যুগে হযরত রাসুল (সা.)-এর রেখে যাওয়া বরকতের ধর্ম মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী আশেকে রাসুলদের মাঝে এ জাতীয় অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত সংঘটিত হচ্ছে। নিম্নে এমনই একটি ঘটনা বর্ণনাকারীর নিজের ভাষা ও বর্ণনায় উল্লেখ করছি-

বর্ণনাকারী বলেন- ‘‘আমি আশেকে রাসুল মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার অধিবাসী। ঘটনাটি ২০০১ সালের ১৩ এপ্রিলের। এ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রামে তখন প্রচণ্ড খরা চলছিল। ভ্যাপসা গরমে শহরবাসী অতিষ্ঠ। প্রায় প্রতিদিনই আবহাওয়া অধিদপ্তর রেকর্ড সংখ্যক তাপমাত্রা রেকর্ড করে চলছিল। চৈত্রের তাপদাহ উপেক্ষা করে আশেকে রাসুলেরা পরামর্শ সভায় যোগ দেয়। কিন্তু গরম এত বেশি ছিল যে, পরামর্শ সভা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কঠিন অবস্থায় অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রশিদ ও মো. ইউসুফসহ আমরা কিছুসংখ্যক আশেকে রাসুল জাকের ভাই মোরাকাবায় বসি। অতঃপর আমাদের মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান চেহারা মোবারক স্মরণ করে কদম মোবারক জড়িয়ে ধরে আজিজি করি এবং তাঁর অসিলা ধরে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করি। আল্লাহর অলী-বন্ধুর কি শান! মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর বন্ধুর অসিলায় আমাদের প্রার্থনা কবুল করেন। মুহূর্তেই গোটা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। অতঃপর শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি। গোটা প্রকৃতি রহমতের বারিধারায় শীতল হয়ে উঠল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পরামর্শ সভার কাজ সম্পন্ন করলাম।’’

উল্লিখিত নবুয়ত ও বেলায়েতের যুগের ঘটনা দু’টির যোগসূত্র প্রমাণ করে যে, দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে প্রচারিত মোহাম্মদী ইসলামই হযরত রাসুল (সা.)-এর রেখে যাওয়া বরকতের ইসলাম। যে কারণে মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারীরা নবুয়তের যুগের ন্যায় প্রতিনিয়ত আল্লাহর অলৌকিক সাহায্য লাভ করছেন। আর এটিই আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর ধর্মের সত্যতার দলিল বা প্রমাণ।

3 COMMENTS

  1. আলহামদুলিল্লাহ্, আল্লাহর অলি বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব -এ- খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর কেবলাজান।

  2. মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলাজন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here