অলৌকিক!

4
560

আশেকে রাসুলের হাতের একটি পশমও পুড়ল না

আশেকে রাসুল মিয়াজ উদ্দীন, নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার শেখের গাও’র চকতাতারদিতে তার বসবাস। তিনি ১৯৯৭ সালে মহান মুর্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের কাছে মোহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন। আল্লাহর এ বন্ধুর কাছে তরিকা গ্রহণের পর থেকে তিনি বিভিন্নভাবে আল্লাহর সাহায্য পেয়েছেন। তার জীবনে আল্লাহর অলৌকিক সাহায্য পাওয়ার বিভিন্ন ঘটনায় তার মনে এ বিশ্বাস দৃঢ়তার সাথে স্থাপিত হয়েছিল যে, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান নিঃসন্দেহে এই যুগের ইমাম এবং আল্লাহর শ্রেষ্ঠবন্ধু।

ঘটনাটি ২০০৭ সালের। ঘটনার দিন তিনি তাদের গ্রামের চকতাতারদি বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। চায়ের দোকানে ১৫ থেকে ২০ জন লোক বসা ছিল। সবাই অত্র এলাকারই বাসিন্দা। তিনি চা পান করছিলেন এবং লোকজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করছিলেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল- তাদের মহান মুর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) দয়াল বাবাজান মানুষকে কী শিক্ষা দেন? এ লোকগুলোর মধ্যে একজন ছিল জনৈক মুখোশধারী ইসলাম কায়েমের নামে জিহাদের ছদ্মবেশে সন্ত্রাসী পিরের অনুসারী। আশেকে রাসুল মিয়াজ উদ্দীনের আলোচনা শুনে ঐ লোকের গায়ে যেন আগুন লেগে যায়। সে চেঁচামেচি করে উঠল এবং আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজান সম্বন্ধে বিভিন্ন কটূক্তি করতে লাগল। তিনি তার কথায় প্রতিবাদ করে এবং বলে, “অলী-আল্লাহ্গণ সম্পর্কে এ জাতীয় কটূক্তি কোনো মুসলমান করতে পারে না। অলী-আল্লাহর সাথে বেয়াদবী করলে গজবে পড়বে।” ঐ লোকটি উত্তেজিত হয়ে বাবা দেওয়ানবাগীকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। আর এ গালমন্দ যেন তার হৃদয়ে নিক্ষিপ্ত তীরের ন্যায় আঘাত করল। তিনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। চায়ের দোকানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। তখন জনৈক ঐ সন্ত্রাসী পীরের অনুসারী সবার সামনে বলল, “চলো-আজ পরীক্ষা করব, তোমার পির সত্য, না আমার পির সত্য। তোমার হাত ও আমার হাত একত্রে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেব। যদি তোমার পির সত্য হয়, তবে আমার হাত আগুনে পুড়ে যাবে। আর যদি আমার পীর সত্য হয়, তবে তোমার হাত আগুনে পুড়ে যাবে।” তারপর তাদের দুজনের হাত একত্রে বাঁধা হলো। চায়ের দোকানের পাশেই ছিল একটি মুদির দোকান। আর ঐ দোকানের সামনেই ছিল ড্রামভর্তি কেরোসিন তেল। অতঃপর গামছা দিয়ে বাঁধা উভয় হাত ড্রাম ভর্তি কেরোসিনের মধ্যে তারা উভয়ে ডুবিয়ে নেয়। তারপর তাদের দুজনের হাতে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ততক্ষণে বাজারের শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গেছে।

এ ঘটনায় উপস্থিত লোকজনও ভয় পেয়ে যায়। আশেকে রাসুল মিয়াজ উদ্দীন সবাইকে বলল, “ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। সত্য ও মিথ্যার ফয়সালা আজই হয়ে যাক। আমার মুর্শেদ বাবা দেওয়ানবাগী যদি সত্যিই এ যুগের ইমাম, অলী-আল্লাহ্গণের বাদশাহ হয়ে থাকেন, তবে আমার হাত পুড়বে না।” এদিকে কেরোসিন তেলে চুবানো গামছা দিয়ে বাঁধা দুটি হাতের উপর দাউ দাউ করে আগুন জলছে। শত শত উৎসুক জনতার সামনে মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর সত্য ধর্মের প্রমাণ পেশ করলেন। তিনি লক্ষ্য করল, তাদের উভয়ের হাতে আগুন জালিয়ে দিলেও তার হাতের একটি পশমও আগুনে পুড়ছে না। পক্ষান্তরে তথাকথিত ঐ ভণ্ডপিরের অনুসারীর হাতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে তা পুড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি হাতটি বাকা হয়ে বাহুর সাথে মিশে যায়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই আল্লাহর বন্ধু বাবা দেওয়ানবাগীর প্রশংসা করতে থাকে। চকতাতারদি বাজারের সমস্ত লোকের মুখে রটে যায়, নিঃসন্দেহে দেওয়ানবাগী হুজুর আল্লাহর একান্ত আপনজন, প্রিয় বন্ধু।
এমনিভাবে মহান আল্লাহ্ মোহাম্মদী ইসলামের সত্যতা প্রমাণ করলে সেখানকার লোকদের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। পরবর্তীতে এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আশেকে রাসুল মিয়াজ উদ্দীনের প্রচেষ্টায় চকতাতারদি এলাকার বহু লোক বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে এসে মহান সংস্কারক যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) কেবলাজানের সহবতে আসেন এবং মোহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন।

4 COMMENTS

  1. আলহামদুলিল্লা্, মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী মারহাবা….. আল্লাহর অলিদের মাধ্যমে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পায় ইহা বাস্তব সত্য ।

  2. নিশ্চই দেওয়ানবাগী হুজুর এই জামানার শ্রেষ্ঠ মহামানব ও আল্লাহর প্রিয় বন্ধু

  3. আলহামদুলিল্লাহ্ ! ব্যাতিক্রমধর্মী ঘটনা জানতে পারলাম !

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here