মোহাম্মদী ইসলামের জন্য সবকিছু ত্যাগ করায় অফুরন্ত রিজিক লাভ
আশেকে রাসুল আমীর হোসেন, পৈত্রিক সূত্রে কুমিল্লা জেলায় তার বাড়ি হলেও জন্ম থেকেই তারা পরিবার-পরিজনসহ নরসিংদীতে থাকেন। তিনি নরসিংদীতে লোহার ব্যবসা করেন। ২০০৬ সালে মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের কাছে এসে মোহাম্মদী ইসলামের সবক গ্রহণ করেন। সবক গ্রহণ করার পর মাধবদীর ফুলতলায় যে দোতলা বাড়িতে তারা থাকতেন, সেই বাড়িতে তিনি মোহাম্মদী ইসলামের পতাকা উত্তোলন করেন। অতঃপর দরবার শরীফ থেকে প্রকাশিত কিতাবসমূহ ক্রয় করে নিজে আমল করার পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করেন। কিন্তু তার মা, ভাই, বোন ও মামা তার এই কাজের ঘোর বিরোধিতা করে। এদিকে তার আয় দ্বারা সংসার চলতো বিধায় পরিবার-পরিজন তার সামনে প্রকাশ্যে ততটা বিরোধিতা করত না। তবে তিনি যখন বাড়িতে থাকতেন না, তখন তার স্ত্রী ও সন্তানের সাথে অন্যায় আচরণ করা হতো, তাদেরকে প্রতিনিয়ত মানসিক অত্যাচারের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনও করা হতো। এদিকে নিজের ব্যবসা থেকে যে বাড়ি সে করেছে, সেই বাড়ি তিনি তার পিতা-মাতার নামে দিয়ে দেওয়ায় তারাও এক পর্যায়ে আমীর হোসেনকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এ সময় তার স্ত্রী ও সন্তানের উপর এতটাই অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় যে, তা সহ্য করার মতো ছিল না। এমনকি তার মামা ও ছোটো ভাইয়ের পরামর্শে তারা তার স্ত্রী ও তাকে হত্যা করার জন্য এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়। মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান দয়া করে ঘৃৃণ্য এ চক্রান্তের বিষয়টি তাকে স্বপ্নযোগে অবহিত করেন। ফলে তিনি সতর্ক হয়ে যান। প্রথমেই স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তারপর বাড়িতে থাকা বাবাজানের ছবি মোবারক, কিতাবসমূহ ও পতাকা কৌশলে পার্শ্ববর্তী জাকের ভাইদের বাসায় স্থানান্তর করেন। অতঃপর সুযোগমত রাতের আঁধারে লুঙ্গি ও শার্ট পড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝে বাবে রহমতে মহান মোর্শেদের কদমপাকে হাজির হন। যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের পরামর্শক্রমে সেদিনই নরসিংদী ত্যাগ করে তিনি কুমিল্লার হোমনায় চলে আসেন। এখানে এসে আবার মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার শুরু করেন। পূর্ব থেকেই হোমনার বাঘামারায় তার দুশতক জমি ছিল। খানকা শরীফ করার জন্য তিনি মহান মোর্শেদের নামে তা দলিল করে দেন। মহান মোর্শেদ দয়া করে তার ক্ষুদ্র খেদমত কবুল করে নেন। তার স্ত্রী ও সন্তানকে হোমনায় নিয়ে আসেন এবং এখানেই বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি বেকার। এক সময়ে তার সবই ছিল কিন্তু আল্লাহ্ ও আল্লাহর বন্ধুকে ভালোবাসতে গিয়ে পিতা-মাতা তার শত্রু হলো এবং বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা-বাণিজ্য সবই হারালো। এদিকে হোমনা চলে আসার পরও তিনি নিরাপদ হতে পারেননি। তার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের কিছু লোক হোমনাতেও তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করতে থাকে। তিনি বুঝতে পারছিল না, “কি আমার অপরাধ! জীবনে যখন অন্যায় পথে চলেছি, তখন পরিবারের সবার কাছে ভালো ছিলাম। আজ শুধুমাত্র মোর্শেদকে ভালোবেসে অন্যায় অপকর্ম ছেড়ে দেওয়ার কারণে এ জুলুম অত্যাচার নির্যাতন!”
পরিশেষে নরসিংদীতে তার যে সম্পত্তি ও নগদ টাকার লেনদেন ছিল পরিবারকে তা বুঝিয়ে দেওয়ার পর তারা কিছুটা শান্ত হলো। এদিকে হোমনায় কীভাবে সে চলবে? তার শত্রুরা ভেবেছিল, নরসিংদীর সমস্ত সম্পদ ও টাকা পয়সা নিয়ে সে পথের ভিখারী হয়ে যাবে। ফলে মোহাম্মদী ইসলাম ছেড়ে দিয়ে আবার তাদের কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু তাদের এ দিবাস্বপ্ন বাস্তবায়িত হলো না। মহান মোর্শেদ তার প্রতি তাঁর দয়ার হাত বাড়িয়ে দিলেন। কিভাবে সে হোমনা এলাকায় জমি কেনা বেচার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লেন তা নিজেও জানেন না। তিনি হোমনা থানার মাথাভাঙ্গা গ্রামে একশ এক শতাংশ জমি কিনেছিলেন চৌদ্দ লক্ষ টাকা দিয়ে। মাত্র বছর দুয়েকের ব্যবধানে ছিচল্লিশ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে বত্রিশ লক্ষ টাকা মুনাফা করেন। মহান মোর্শেদের অপার দয়ায় সেই থেকে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নতুনভাবে আল্লাহ্ তাকে হোমনাতে আবার প্রতিষ্ঠিত করলেন। “পরিশেষে মহান মালিকের নিকট প্রার্থনা- ওগো দয়াল মাওলা, দয়াল খোদা! হায়াতে জিন্দেগিতে যেভাবে আপনি শত্রুর কবল থেকে আমার ইমান রক্ষা করেছেন, মৃত্যুর সময় এভাবেই আমাকে ইমানের সাথে আপনার কাছে নিয়ে নেবেন।”
এই ঘটনা ঘটিয়ে মহান আল্লাহ্ প্রমাণ করেছেন যে, দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে প্রচারিত মোহাম্মদী ইসলাম মূলে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর ইসলাম।
ar sonjoydas আলহামদুলিল্লাহ্, কোটি কোটি শুকরিয়া ও কদম বুচি জানাই আমাদের মহান মোর্শেদ বাবা দেওয়ানবাগীর পরশময় নূরের পবিত্র কদম মোবারক।
সুবহানআল্লাহ