নদী থেকে বোয়াল মাছ উঠে এসে যুগের ইমামকে শ্রদ্ধা জানালো
আশেকে রাসুল আল আমিন, ঢাকার বাড্ডা এলাকার অধিবাসী। ঘটনাটি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ সেপ্টেম্বর, সোমবার। ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলাধীন বাবে বরকত, দেওয়ানবাগ শরীফে হযরত রাসুল (সা.)-এর নুরে হিদায়েতের ধারক ও বাহক যুগের ইমাম, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর শুভগামন উপলক্ষ্যে আঞ্চলিক আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এদিন মহান মোর্শেদের আগমনকে কেন্দ্র করে বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফের সম্মেলন চত্বরে রাজধানী ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলার লাখো মানুষের ঢল নামে। ঢাকা থেকে মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের গাড়ির বহর বাবে বরকতে পৌঁছার পর পরই লাইনে দাঁড়িয়ে বাবাজানকে কদমবুসি করার সুযোগ পেয়ে যান আশেকে রাসুল আল আমিন। অতঃপর হযরত বড় মা (রহ.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করেন। তারপর আশেকে রাসুল আল আমিন এবং আশেকে রাসুল সেকুল বাবে বরকতের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।
বেলা সাড়ে এগারটায় তারা দুজন বাবে বরকতের উত্তর দিকে খিরু নদীর পাড়ে বেড়াতে যান এবং নদীতে হাত মুখ ধুয়ে ওযু করেন। এ সময় তারা দুজন পরস্পর বলাবলি করেন যে, “এখন যদি একটি বড়ো বোয়াল মাছ পেতাম, তবে তা মহান মোর্শেদের জন্য নিয়ে যেতাম।” আল্লাহর কি অপার মহিমা! এ কথা শেষ হতে না হতেই একটি বড়ো বোয়াল মাছ লাফ দিয়ে নদীর তীরে ডাঙ্গায় তাদের কাছে এসে পড়ে। অভূতপূর্ব এ দৃশ্য দেখে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। তারপর তারা মাছটিকে ধরে ফেলেন। কিন্তু একি! মাছটি কোনো ছটফট করছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল, মাছটি যেন আল্লাহর বন্ধুর কাছে যাওয়ার জন্যই তাদের কাছে ছুটে এসেছে। তারপর তারা মাছটিকে আল্লাহর বন্ধুর কাছে নিয়ে আসেন। এ সময় মাছটি নিশ্চুপ হয়ে মহান মোর্শেদের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট নাড়ছিল।
উল্লেখ্য, মাছটির ওজন তিন কেজিরও বেশি ছিল। অতঃপর মাছটি ভুনা করে তারা মহান মোর্শেদ ও তাঁর পরিবারবর্গের আহারের জন্য পেশ করেন।
ar sonjoydas আলহামদুলিল্লাহ্, মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী মারহাব।