উত্তম বাসস্থানের ব্যবস্থা
আশেকে রাসুল আমিনুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে জাহাঙ্গীর, কুমিল্লা জেলায় তার জন্ম হলেও ঢাকা জেলার ডেমরা থানাধীন দনিয়ায় তারা বসবাস করেন। বর্তমানে তার মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজর কেবলাজান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘বাবে কুতুবুল আকতাব ভবন’ ১৫১ আরামবাগ, ঢাকায় অবস্থান করছেন।
ঘটনাটি ২০০৭ সালের জুন মাসের। মহান মোর্শেদ দয়া করে ‘বাবে কুতুবুল আকতাব ভবন’ পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি দয়া করে তার বাসায় তশরিফ গ্রহণ করেন। এদিকে তার বাসায় তখন কোনো আসবাবপত্র ছিল না। ফলে বাসার অভ্যন্তরীণ পরিবেশে অনেকটাই অগোছালো ছিল। মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান এরূপ অবস্থা দেখে তাকে বললেন-‘‘জাহাঙ্গীর! একটা আলমারি কিনতে পার না? কাপড়-চোপড়ের এ অবস্থা কেন?’’ অতঃপর দয়াল বাবাজান বাবে কুতুবুল আকতাব ভবন পরিদর্শন শেষে বাবে রহমতে ফিরে আসেন। কিন্তু বাবাজানের এ উক্তি তার মনে দাগ কাটে। জাহাঙ্গীর সাহেব তখন কিছু টাকা ঋণগ্রস্ত হওয়ায় অতীব জরুরি কিছু আসবাবপত্রও কিনতে পারছিল না। এদিকে বাবাজান চলে আসার কয়েক দিন পরে তিনি তার বাসায় তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ব্রিফকেস খুলে দেখে সেখানে ২৯,৫০০ (ঊনত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা রয়েছে অথচ এ ব্রিফকেসে ইতিপূর্বে সে যেমন একটি টাকাও রাখেনি, তেমনি তার এই ব্রিফকেসের পাসওয়ার্ড নাম্বারও বাসার কারো জানার কথা নয়। তাহলে ৫০০ টাকার ৫৯টি নতুন নোট কীভাবে এখানে আসল? বিষয়টি জানার জন্য সে বাসায় তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েসহ একে একে সবাইকে জিজ্ঞেস করল। তারা প্রত্যেকেই জানাল যে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না। এদিকে ইতালি প্রবাসী তার ছোট শ্যালিকা তার বাসায় তখন বেড়াতে এসেছিল, তাকেও জিজ্ঞেস করল। প্রত্যেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে বলছিল, এটা দয়াল বাবাজানের অলৌকিক কারামত ব্যতীত কিছুই নয়। তিনি যে আলমারি ক্রয় করতে বলেছিলেন, বাবাজানের এ নির্দেশ যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য অলৌকিকভাবে মহান আল্লাহ্ এতগুলো টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তার তখন মনে পড়ে যায়, তার মহান মোর্শেদ যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের জগদ্বিখ্যাত সেই বাণী, তিনি ফরমান- ‘‘যে পির মুরিদের হাঁড়ির খবর রাখতে পারে না, তার পিরালি করা জায়েজ নেই।” তার আর তখন বুঝতে বাকী রইল না যে, তার কাছে যে আলমারি কেনার মত টাকা নেই, এ খবরও তার মোর্শেদ রেখেছেন এবং দয়া করে টাকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। অতঃপর তিনি এ টাকা দিয়ে আলমারিসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ক্রয় করে তার বাসাকে সুন্দর করে সাজিয়ে ফেলেন। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মোর্শেদ কেবলার সান্নিধ্যে তাঁর খেদমতে নিয়োজিত আছেন। ফলে তার বাইরে কর্ম করার কোনো সুযোগ নেই অথচ মহান মোর্শেদের অপার দয়ায় তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই ভাল আছেন।
মহান আল্লাহ্ প্রতিনিয়ত তাকে এবং তার স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিকে উত্তম রিজিক দিয়ে যেমন আহার করাচ্ছেন, তেমনি বসবাসের জন্য উত্তম বাসস্থানও দিয়েছেন। পরিশেষে মহান রাব্বুল আলামিনের নুরের কদম মোবারকে প্রার্থনা- ‘হে দয়াময় খোদা! আমৃত্যু যেন তোমার এ বন্ধুকে ভালোবেসে তাঁর খেদমত করে যেতে পারি। আমিন!
আমিন
আমিন
আলহামদুলিল্লাহ্, মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী মারহাবা…
আমীন
আমিন
মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলাজন
মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলাজন