ইমাম ড. কুদরত এ খোদা
বিশেষ সংবাদদাতা: সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের মেজো সাহেবজাদা, দেওয়ানবাগ শরীফের পরিচালক ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আসলে আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। আমি আমার মোর্শেদ আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের পক্ষ থেকে, দেওয়ানবাগীর সকল সন্তানদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিচ্ছি। আমি আশা করি আপনারা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন। যেহেতু বাবাজান আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাই আমার কাছে মনে হয় আপনাদের সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকলে আপনারা ভুল এবং বিভ্রান্তির দিকে হাঁটবেন।
গত ১ জানুয়ারি শুক্রবার সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ফাতেহাখানি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশেষ আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে বর্তমান পরিস্থিতিতে আশেকে রাসুলদের করণীয় প্রসঙ্গে মেজো সাহেবজাদা হুজুর দিকনির্দেশনা দেন।
ড. কুদরত এ খোদা বলেন, প্রথম কাজ হলো, এই মুহুর্তে সকল আশেকে রাসুলকে এক নির্দেশে চলতে হবে। সকল আশেকে রাসুলদের মোর্শেদের ওফাতের পরে একসাথে থাকা জরুরি। তাই যে কোনো ফেতনা থেকে দূরে থেকে একত্রিতভাবে একমতে এই মোহাম্মদী ইসলামকে পরিচালিত করতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে দরবার শরীফ থেকে আপনাদের উদ্দেশ্যে যে নির্দেশনাগুলো যাবে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের ভবিষ্যতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাবো, কীভাবে কাজ করতে হবে।
দ্বিতীয় কাজ হলো, এক কমান্ডের বাইরে না যাওয়া। তৃতীয় কাজ হচ্ছে, কোনোভাবেই আমরা একে অপরের সাথে কোনো রকম বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হব না। এই মুহূর্তে মোহাম্মদী ইসলাম সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং মোর্শেদের আদর্শকে ধরে রাখাটা আমাদের জন্য জরুরি। চতুর্থ কাজ হচ্ছে, মোর্শেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা। মোর্শেদ স্বপ্ন দেখতেন সারা বিশ্বে আশেকে রাসুল তৈরি হবে।
আশেকে রাসুলদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, আশেকে রাসুলদেরকে নিজেদের চরিত্রকে সংশোধন করতে হবে। আল্লাহকে পাওয়ার এবং রাসুলকে পাওয়ার সাধনা করতে হবে। নিজেদেরকে ইমানদার বানাতে হবে। তাই পরসমালোচনা, পরনিন্দা, পরচিন্তা ত্যাগ করি। আত্মসমালোচনায় মগ্ন হয়ে এখন সময় এসেছে আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীকে নিজের অন্তরে বসানোর। মোরাকাবার মাধ্যমে শাহ দেওয়ানবাগীর সঙ্গে আপনার যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। এজন্য নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা জরুরি। তাই আশেকে রাসুলদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, নিজেরা নিজেদের চরিত্রকে সংশোধন করেন এবং তরিকতের আমলে নিজেরা নিজেকে তৈরি করেন, যাতে আপনি সাধনার মাধ্যমে মোর্শেদের সাথে, রাসুলের সাথে, আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ড. কুদরত এ খোদা বলেন, কোনোভাবেই কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করে এই মোহাম্মদী ইসলাম থেকে দেওয়ানবাগীকে বিলীন করতে না পারে। সবার উপরে মোর্শেদ সত্য, তাহার উপরে নাই। এটা আমি কুদরত এ খোদার শিক্ষা। আজ থেকে দশ বৎসর আগে দেওয়ানবাগ শরীফের মাইকে আমিই প্রথম ব্যক্তি এই প্রতিধ্বনি দিয়েছিলাম। সবার উপরে মোর্শেদ সত্য তাহার উপরে নাই। কিয়ামত পর্যন্ত এই মোহাম্মদী ইসলামের মোর্শেদ থাকবে আাল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী। আজ ঐ প্রতিধ্বনি লক্ষ আশেকে রাসুলের অন্তরে বাস করছে। কিয়ামত পর্যন্ত এই মোহাম্মদী ইসলামের মোর্শেদ থাকবেন দেওয়ানবাগী।
মেজো সাহেবজাদা হুজুর মোহাম্মদী ইসলামের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলেন, “আমি সকল আশেকে রাসুলদের কাছে কথা দিচ্ছি, এই দেহে যতক্ষণ আমার প্রাণ আছে, এই দেহে যতক্ষণ আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর রক্ত আছে, আমি কথা দিচ্ছি এই মোহাম্মদী ইসলাম সমুন্নত হবে সারা বিশ্বে। যারা ফেতনাকারী আছে তারা দূরীভুত হবে, আমি কথা দিচ্ছি, যারা নির্বোধ আছে তাদের বোধ আসবে। তারা বলবে জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ, শাহ দেওয়ানবাগী জিন্দাবাদ। তারাই বলবে। আসছে সময়। আপনারা দেখে যাবেন, আপনারাই দেখবেন।
আমি কথা দিচ্ছি এই সময় আসছে, অপেক্ষা করুন। শুধু ইমান রাখেন, নিজে কায়েম থাকেন ইমানে। বাকিটা পথ কীভাবে চলতে হবে বলে দিব। ওই পথে চলেন, মোহাম্মদী ইসলাম হাজার মাইল গতিতে চলবে। বিশ্বের এমন কোনো দেশ থাকবে না, যেই দেশে মোহাম্মদী ইসলামের পতাকা সমুন্নত হবে না। এমন কোনো অঞ্চল থাকবে না, যেখানে আশেকে রাসুল থাকবে না। সারা বিশ্বে মোহাম্মদী ইসলামের প্রচার হবে। সারা বিশ্বে মোহাম্মদী ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।”
মেজো সাহেবজাদা হুজুর বলেন, মোর্শেদ কেবলাজান দুনিয়ার বুকে রেখে গেছেন ১১টি দরবার শরিফ, শতাধিক খানকাহ শরিফ, সহস্রাধিক জাকের মজলিস এবং ৩ কোটির বেশি আশেকে রাসুল। এটা বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। তিনি আমাদের মাঝে রেখে গেছেন ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’। যা ৮ খণ্ডে সুবিস্তৃতভাবে লিখিত। তিনি প্রায় ১১ হাজার পৃষ্ঠার এই তাফসিরে আল্লাহর আকারের উপরে বিশাল জ্ঞানভাণ্ডার আমাদেরকে দান করে গেছেন। তিনি ১৫ টির বেশি বই আশেকে রাসুলদেরকে তাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার আলোকিত করার জন্যে দিয়ে গেছেন। আমরা যাতে এই বইগুলো থেকে আলোকিত হতে পারি।
দেওয়ানবাগ শরীফের সমন্বয়ক ড. কুদরত এ খোদা বলেন, ‘আসলে মোর্শেদের বিষয়ে বলা কঠিন। গত ৮ মাসে আপনারা সাক্ষী আছেন মোর্শেদের জীবদ্দশায় মোর্শেদকে পাশে নিয়ে কথা বলেছি। মোর্শেদকে পাশে নিয়ে উপস্থাপনা করেছি। আজ প্রথম বারের মতো জাহেরিয়াতে মোর্শেদকে পাচ্ছি না। এটা বড়ো কঠিন। যে কোনো মানুষের জন্যে এটা একটা বড়ো কঠিন সময়। মোহাম্মদী ইসলামের জন্যে এটা একটা কঠিন সময়।’ এ সময় আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন মেজো সাহেবজাদা।
আবেগ সংবরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ এই দিন এভাবে দেখতে চাইনি। কিন্তু যদি মোর্শেদের ইচ্ছা থাকে, আমাদের কিছু করার ছিল না। আমার পূর্বে আওলাদগণ বিভিন্ন কথা বলেছেন। আমি প্রত্যেকের আলোচনা শুনেছি, আপনারাও শুনেছেন। আমি ওনাদের আলোচনায় ওনাদের সাথে সহমত পোষণ করছি। আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান তাঁর জীবদ্দশায় বহুবার আমাদেরকে বলেছেন- আমার এই দরবারে কোনো পির হবে না এবং আমরাও এই দরবার শরিফে কখনও পির হওয়ার চিন্তাও করিনি। আর আগামীতেও যতদিন বাঁচব কখনোই নিজেরা পিরালী করার চিন্তা এই দরবারে করি না।
পরিতাপের বিষয় সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে, পিরের পরে গদিনিশিন হয়। গদিনিশিন কে হবে? যারই ধারাবাহিকতায় কিছু মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে কিছু আলোচনা করেছেন; আমরা অবগত। তবে আমি বিশ্বাস করি, এটা আমাদের অধিকাংশ আশেকে রাসুলের কথা নয়। এটা এক শ্রেণির বিপথগামীদের কথা। যেহেতু বিপথগামীদের কথা, এই কথাকে প্রাধান্য দিয়ে অনেক বড়ো পদক্ষেপ নেওয়ার আমাদের সুযোগ নেই। এখন আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে যে আমাদের করণীয় কী। বিপথগামীরা চাইবে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ফেতনা তৈরী করার। তারই ধারাবাহিকতায় তারা একেক সময় একেকটা বলবে।
ড. কুদরত এ খোদা বলেন, আপনারা অবগত আছেন। মোর্শেদ কেবলাজানকে যারা ছাড় দেন নাই, তারা আপনাকে আমাকে কখনোই ছাড় দিবে না। তারা এক সময় বলেছেন, দেওয়ানবাগী পাগল হয়ে গেছে। তারা এক সময় বলেছে, দেওয়ানবাগীর মাথা নষ্ট। তারা ভিডিও এডিটিং করে আগেরটা পরে, পরেরটা আগে করে মানুষকে ফেতনায় লিপ্ত করেছে। তারা এক সময় বলেছে, মোর্শেদ কেবলাজানের হিতাহিত জ্ঞান নাই। জীবিত মোর্শেদকে ২০১৭ সনে তারা মৃত ঘোষণা করেছে। এরাই তো তারা। এরা কারা? এদের পরিচয় কী? তারা কী নামে পরিচিত? তাদের কখনো নাম হয় বিপ্লব, কখনো এই নাম হয় সাইদুর রহমান, কখনো এই নাম হয়তো আগামীতে অন্য কেউ হবে। তবে তাদের একটা পরিচয় সত্য। সেটা হচ্ছে তারা বিপথগামী। তারা সঠিক পথে নয়, তারা ভুল পথে আছে এবং তারা ওই ভুল পথে থেকেই বিভিন্নভাবে ফেতনা ছড়াচ্ছে এবং তারাই এখনও ফেতনা ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেই কারণেই তারা বিভিন্নভাবে আশেকে রাসুলদের মনের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরী করে দিয়ে আশেকে রাসুলদেরকে মোহাম্মদী ইসলামের মূল ধারা থেকে দূরে সরিয়ে তারা চাচ্ছে অন্য একটি ধারায় ধাবিত করার জন্যে। ইনশাল্লাহ আল্লাহ যদি আমাদেরকে হেফাজত করেন, আল্লাহ যদি গোলামদেরকে সুযোগ দেন; অপেক্ষা করেন এই বিপথগামীদের জন্য শক্ত জবাব আসছে এবং তাদের প্রত্যেকটা ফেতনা দূরীভুত হবে, মোহাম্মদী ইসলামের পতাকা সমুন্নত হবে ইনশাল্লাহ।
ড. কুদরত এ খোদা বলেন, মোর্শেদ কেবলাজানের অছিয়ত আমরা পড়ে শুনিয়েছি। বিপথগামী তাহমিনা ছাড়া মোর্শেদ কেবলাজানের ছয় সন্তানই আল্লাহর বন্ধু। আল্লাহর দয়ায় আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান তাঁর সন্তানদেরকে শিক্ষার দিক দিয়ে যোগ্য করেছেন, পাশাপাশি আল্লাহ ও রাসুলের পথে তাদেরকে সুযোগ্য করে গড়ে তুলেছেন।
মেজো সাহেবজাদা হুজুর বলেন, আমরা ছোটোবেলায় তখন মোরাকাবা শিখেছি, যখন আমরা অ আ শিখিনি। যখন আমরা অ আ পড়তে জানি না, তখন আমরা সাধনা করে আল্লাহকে পেতে শিখেছি। যখন আমরা অ আ শিখিনি তখন আমরা কীভাবে মোরাকাবা করে আল্লাহ ও রাসুলের সাথে যোগাযোগ করবো সেটা আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী আমাদেরকে শিখিয়েছেন।
ড. কুদরত এ খোদা আশেকে রাসুলদের উদ্দেশে বলেন, কোনো আওলাদকে ছোটো করে দেখার সুযোগ নেই। কিছু মানুষ এই ধরনের কথাগুলো বলছেন। আমি বিশ্বাস করি এগুলো প্রকৃত আশেকে রাসুল নয়। যারা বলছেন তারা এই বিপথগামীদেরই অন্তর্ভূক্ত, তাদেরই অনুচর। তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কথা রটনা করে আমাদের মধ্যে একটা ফাটল তৈরী করার কর্মপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মেজো হুজুর বলেন, আল্লাহর বন্ধু দেওয়ানবাগী বলেছেন, তাঁর তরিকা তাঁর ৪ সন্তান দ্বারা পরিচালিত হবে। এই ৪ সন্তানই এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেটাই মোর্শেদের অসিয়ত। শুধু অছিয়ত না আমার মনে হয় মাইকেও বহুবার আপনাদের উদ্দেশে অনলাইন প্লাটফর্মে এই কথা পরিষ্কার ভাবে বলেছেন। আর আমার কথা বলেছেন, আমি মোহাম্মদী ইসলামকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব। অর্থাৎ আমি আমার এই মোহাম্মদী ইসলামের ৩ সাহেবজাদাকে এবং সকল আশেকে রাসুলদেরকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমার ভাইয়েরা আমার কাজে আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং আমার ৩ ভাইকে তিনি ওয়াদা করিয়েছেন, কোনো আশেকে রাসুলের কুপরামর্শে আমার ৩ ভাই যাতে কোনোভাবেই আমার বিরুদ্ধাচরণ না করে এবং তিনি এটাও বলেছেন যাতে আমরা ৪ ভাই একসাথে চলি।
ড. কুদরত এ খোদা বলেন, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান আমাদেরকে বলেছেন, আমি আমার এই কষ্টের মোহাম্মদী ইসলামকে পানিতে ভেসে যেতে দেবো না। তোমরা বিপথগামী সাইদুর রহমান, সাইদুরের স্ত্রী তাহমিনা, সাইদুরের পরিবারবর্গ এবং তার অনুসারিদেরকে আর এই মোহাম্মদী ইসলামে কখনো কোনো সুযোগ দেবে না। তোমরা সারা জীবন একসাথে থাকবে এবং এই বিপথগামীদের থেকে শত ভাগ দূরে থাকবে।
সকল আশেকে রাসুলকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে ইমাম কুদরত এ খোদা বলেন, “আমার আল্লাহ আমার সাথে আছেন, আমার রাসুল আমার সাথে আছেন, আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী আমার সাথে আছেন। আল্লাহ যার সাথে থাকে তার ভয় থাকতে পারে না। হযরত রাসুল (সা.) যার সাথে থাকে তার ভয় থাকতে পারে না। মোর্শেদ যার সাথে আছে জগতে তার ভয় থাকতে পারে না। দেওয়ানবাগীর ৬ জন আওলাদ, ৬ জন অলী-আল্লাহ একসাথে দাঁড়িয়েছে, আমাদের আর কোনো ভয় নেই। তাহলে আজ থেকে অঙ্গীকার করেন, ওগো বাবাজান! আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা এক সাথে থাকব, এক সাথে মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যাব। অঙ্গীকার করেন, বাবাজান! বিপথগামী তাহমিনা ছাড়া আপনার বাকি ছয়জন সন্তানকে অন্তরে ধারণ করে ভালোবাসবো। দেওয়ানবাগীর আত্মার সন্তান আপনারা। সন্তান হিসেবে পিতার কাছে অঙ্গীকার করেন, আত্মার পিতা শাহ দেওয়ানবাগীর সাথে অঙ্গীকার করেন। বাবাজান দেখেন, আপনার মুরিদেরা দুই হাত তুলেছে, অঙ্গীকার করছে। আপনি দয়া করে আপনার মুরিদ সন্তানদের কবুল করে নিন। ওগো দয়াল রাসুল আপনি তাকিয়ে দেখেন, আপনার কোটি কোটি আশেকে রাসুল হাত তুলে অঙ্গীকার করছে, আপনি তাদেরকে কবুল করে নেন। ওগো দয়াল মাওলা আপনি দয়া করে দেখেন, আপনার বন্ধু দেওয়ানবাগী তাঁর যে মুরিদ রেখে গেছেন তারা আপনাকে ভালোবাসে। আপনার প্রতি আশা রেখে দুই হাত তুলে রেখেছে। আপনি সকলকে কবুল করে নেন। আপনি দয়া করে তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। আমাদেরকে শক্তি দেন, সামর্থ দেন, আমরা যাতে এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সকল আশেকে রাসুলদেরকে কবুল করে নেন।”
মোর্শেদ কেবলাজানকে হারানোর ব্যথা তুলে ধরে ড. কুদরত এ খোদা বলেন, মোর্শেদকে রওজায় শায়িত করেছি। বোঝাতে পারব না কী ব্যথা! কী ব্যথা অনুভব করছি। যার হারায় সে জানে কী হারায়, মুরিদের মোর্শেদ যখন ওফাত লাভ করে। এতো এক জীবনের কঠিন সময়, এটা বুঝানো যায় না। বুঝানো যাবে না, এ ব্যথা কী। আমি মোর্শেদের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ। মোর্শেদ আমাকে অঙ্গীকার করিয়েছেন, আমাকে আপনাদের পাশে থাকতে হবে। আমি সকল আশেকে রাসুলদের কাছে আহ্বান করি, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আমি মোর্শেদের সন্তান সত্য, আপনারাও মোর্শেদের সন্তান। আমি ঔরশজাত সন্তান, আপনারা আত্মার সন্তান। আমরা যদি দুই সন্তান এক হই, শাহ দেওয়ানবাগীর এই মোহাম্মদী ইসলাম সারা বিশ্বে সমুন্নত হবে। আমরা মিলে-মিশে এই মোহাম্মদী ইসলামকে চালিয়ে নিয়ে যাব।
মহান মোর্শেদের কদমে শতকোটি কদমবুচি জানাই।দয়াকরে আশেকে রাসুল হিসাবে কবুল করে নেন।সকল ফেতনা থেকে হেফাজত করুন।আমিন
০৪ জন সাহেবজাদা ও ০২ জন সাহেবজাদী গন এবং আশেকে রাসূলগনের একত্রে অবস্থান সহ মন্মানিত মেঝো সাহেবজাদা হুজুরের নেতৃত্বে বাবাজানের রেখে যাওয়া মোহাম্মদী ইসলাম এগিয়ে যাবে।
ইনশা আল্লাহ।
আমিন!!!
জ্বী আমরা সঠিকভাবে মেনে চলব সেজন্য আপনার দয়া ভিক্ষা চাই
আমিন
Amin
আমিন
জ্বী হুজুর আমরা একই নির্দেশনায়, মোর্শেদের ইচ্ছায় মেহাম্মদী ইসলামের গুলাম হয়ে থাকতেচাই, আপনি আমাদের কবুল করে নিন।
ইনশাআল্লাহ
আমিন ❤❤🙏🙏🙏
মারহাবা ইয়া সূফী সাম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহঃ)
মারহাবা ইমাম ডক্টর সৈয়দ এ এফ এম কুদরতে -ই খোদা (মাঃআঃ)
আমিন
Amin