-সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী
বিশেষ সংবাদদাতা॥ মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আপনারা যেমন আমাকে দেখতে পাচ্ছেন না, আমিও আপনাদের দেখতে পাই না। আমারতো মনে চায় আপনাদেরকে দেখতে, আপনাদের সাথে কথা বলতে। কিন্তু আল্লাহ্র বিধান আমাদের লঙ্ঘন করার সুযোগ নেই। দুনিয়াতে রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে বিপদ-আপদ বালা-মুসিবত নেমে আসে। আর সেই মুসিবতটা আসে আমাদের কর্ম দোষে। আমরা যে আল্লাহ্কে ভুলে গিয়েছি, আল্লাহ্কে ছেড়ে দিয়েছি, রাসুলের আদর্শ ছেড়ে দিয়েছি, ফলে আমরা বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। এখন একটা দেশে নয়, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি শুরু হয়েছে। এই করোনার নামও আমরা জানতাম না। আর এটা এমন একটা রোগ, যার ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। এর কোনো চিকিৎসাও নেই।
তিনি গত ১০ জুলাই, শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আরামবাগস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে ‘আল্লাহ্র দেওয়া পুরস্কার: পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি’ উপলক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহ্ফিলে বাণী মোবারক দিচ্ছিলেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী বলেন, আপনাদেরকে আমি করোনা মহামারির প্রথমেই সংবাদ দিয়েছিলাম যে, আপনারা সকাল-সন্ধ্যা আমাদের ওয়াজিফায় দেওয়া মিলাদ শরীফটা পড়েন। আর মানত করে রাখবেন। আল্লাহর দয়া হলে যারা মিলাদ শরীফ পড়বেন, আর মানত করে রাখবেন, তাদের বাড়িতে এই করোনা যাবে না। তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। সুতরাং যারা নিয়ম পালন করছেন, আল্লাহ্ দয়া করে তাদেরকে সাহায্য করছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন, “ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন।” অর্থাৎ- মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-কে জগতের জন্য রহমতরূপে প্রেরণ করেছেন। যেখানে রহমত থাকে, সেখানে গজব থাকতে পারে না। আর যেখানে গজব থাকে সেখানে রহমত থাকে না। সুতরাং আমরা যদি নিয়মিত রাসুলের শানে মিলাদ শরীফ পড়ি এবং নিয়মিত তরিকার আমল করি, তাহলে আমরা অবশ্যই আল্লাহর দয়া ও সাহায্য পাবো।
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী বলেন, আপনাদের ঘাবরাবার কিছুই নেই। আমাদেরকে আল্লাহ্ দেখবেন, আমরা আল্লাহর আশ্রয়ে আছি। তাই নির্দ্বিধায় তরিকার কাজ করে যান। এই বিপদ চিরদিনের বিপদ নয়। আস্তে আস্তে একটা সময় আসবে যে, বিপদ দূর হয়ে যাবে। সুতরাং বিপদের সময়, মুসিবতের সময়, এই রহমত অর্থাৎ মিলাদ পড়া অতীব জরুরী। প্রত্যেকেই যার যার বাসায় সকাল-সন্ধ্যা আমাদের মিলাদ শরীফটা পড়বেন এবং মানত করে রাখবেন। মানতের পরিমাণটা নিজেরা ঠিক করে রাখবেন। যদি পরিমাণটা কম হয়, অনেক সময় মুসিবতটা চেপে যায়। মানতটা একটু বাড়িয়ে করে রাখবেন। যেন আল্লাহ্ মাফ করেন।
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী বলেন, আমি কথাটা এই উদ্দেশ্যে বললাম, আগেতো আপনারা আমার কাছ থেকে শুনে নিতে পারতেন, মানত কী করবেন! কিন্তু এখনতো আপনারা দূরে, আমিও দূরে, আমার কাছ থেকে সরাসরি শোনার সুযোগ নেই। সুতরাং আপনারা নিজেরা যার যার ক্বলবে খেয়াল করে, মানত করে রাখবেন। নিয়মিত তরিকার কাজ করবেন আর ওয়াজিফার আমল করবেন। আল্লাহর দয়া হবে, আপনারা আল্লাহর দয়া পাবেন। আপনাদের কী ভয় করে? আপনারা যারা দূরে আছেন ভয় পান? আপনারাতো রাসুলেরই উম্মত, আপনারাতো আশেকে রাসুল, আপনাদের ভয়ের কী আছে? আপনাদের সাথে আল্লাহ্ আছেন, রাসুল আছেন। সুতরাং মহব্বতের সাথে তরিকার কাজ করেন, নিয়মিত আমল করেন। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে। আমরা চিরদিন থাকতে আসিনি। ইচ্ছা করলেও থাকতে পারবো না। আমাদের পূর্বে যে মহামানবগণ এসেছিলেন, রাহমাতুল্লিল আলামিনসহ সবাইকেই এই দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। সুতরাং আমরা যেন ইমানহারা হয়ে না পড়ি। ইমানের উপরে কায়েম থাকবেন, নিয়মিত তরিকার আমল করবেন।
অনলাইন ভিডিও কনফারেন্স প্রসঙ্গে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী বলেন, আমরা এই সিস্টেমটা চালু করেছি এজন্য যে, দীর্ঘ প্রায় চার মাস যাবত আপনাদের সাথে আমার সামনা সামনি সাক্ষাৎ হয় না, কথাবার্তা হয় না। তাই এটা চালু করেছি যেন আপনারাও আমাকে দেখতে পান এবং আমিও আপনাদের দেখতে পাই। সুতরাং মহব্বতের সাথে নিয়মিত ওয়াজিফার আমল করবেন এবং দরবারের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে, ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখবেন। যত দূরে যেখানেই থাকেন- মোর্শেদকে স্মরণ রাখবেন, মোর্শেদের মাধ্যমে হযরত রাসুল (সা.) এবং আল্লাহ্কে স্মরণ করবেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় জুমার নামাজের আজানের পর মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর অনুষ্ঠিত হয় জুমার নামাজ।
বাদ জুমা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানকে সকল আশেকে রাসুলদের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য প্রদান করেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.)। অতঃপর সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহ্ফিলে আশেকে রাসুলদের উদ্দেশে বাণী মোবারক প্রদান করে আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.)। ।
ar sonjoydas আলহামদুলিল্লাহ্, মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী মারহাব।
আমিন
শুকরিয়া মহান রাব্বুল ইজ্জতের দরবারে যার অপার দয়ার বদৌলতে এই সংকটকালীন মুহুর্তেও ঘড়ে বসে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে দয়াল মোর্শেদের বানী মোবারক শ্রবন করার সৌভাগ্য হয়েছে । ভার্চুয়াল পর্দায় দয়াল বাবাজান কে সরাসরি দেখার ও সৌভাগ্য হয়েছে । এজন্যে দয়াময়ের পবিত্র করম মোবারকে জানাই লাখ লাখ শোকর!!!!!
যুগের ইমামের মহা সত্য বানী মোবারক
আমিন
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহান মোর্শেদের বানী মোবারক শ্রবন করে অন্তরে অনাবিল শান্তি ও আনন্দ পেয়েছি। শুকরিয়া জানাই মহান মালিকের দরবারে।