আশেকে রাসুলদের প্রতি মেজো সাহেবজাদা হুজুরের দিকনির্দেশনা

গত ২৯ জানুয়ারি দেওয়ানবাগ শরীফে সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে আশেকে রাসুলগণের প্রতি দিকনির্দেশনামূলক বাণী রাখেন সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজানের মেজো সাহেবজাদা, দেওয়ানবাগ শরীফের সমন্বয়ক, পরিচালক ও আশেকে রাসুলদের সকল সমস্যার ফয়সালাকারী ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর। বর্তমান সময়ে আশেকে রাসুলদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দেন এবং তরিকতের সাধনায় উন্নতির পথ বাতলে দেন মেজো সাহেবজাদা হুজুর। আশেকে রাসুলদের জন্য ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের বাণী মোবারক সংক্ষেপিত আকারে তুলে ধরা হলো:
“আপনারা সকলেই জানেন যুগ আধুনিক হচ্ছে। অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক অনেক কার্যক্রম আমরা করতে পারছি এবং তারচেয়ে সবচেয়ে বড়ো কথা আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী এই প্লাটফর্মটাকে সবচেয়ে বেশি ভালবেসেছিলেন। কারণ করোনার এই লকডাউনের সময় উনি প্রত্যেকটা আশেকে রাসুল ভাই বোন দেশে বিদেশে সকল ভাই বোনকে তিনি একত্রিত করতে পেরেছিলেন। যার দরুন তিনি এই প্লাটফর্মের ব্যাপারে অত্যন্ত আনন্দিত ছিলেন। তিনি আমাকে সবসময় বলতেন যে, তুমি এই প্লাটফর্মকে দিয়ে আমাকে সকল আশেকে রাসুলকে সংযুক্ত করে দিয়েছ। এবং এই প্লাটফর্মের তিনি ভূয়সী প্রশংসা করতেন। মোর্শেদের ইচ্ছা বাস্তবায়ন করাই আমাদের কাজ। মোর্শেদের ইচ্ছায় পরিচালিত হওয়াই আমাদের কাজ। তাই আমরাও চেষ্টা করব এই প্লাটফর্মের সাথে সব সময় সংযুক্ত থাকতে।
রওজা শরিফ প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে হবে। অর্থাৎ মাস্ক পরিধান করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে প্রবেশ করতে হবে। রওজা শরিফ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত্র ৮টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত থাকবে। রওজা শরিফের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের নিরাপত্তা কর্মী ভাইয়েরা আপনার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্যে বিভিন্ন প্রশ্ন আপনাকে করতে পারেন। এই বিষয়ে আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাচ্ছি। অর্থাৎ এখন করোনা মহামারির কারণে আপনি মাস্ক পরিধান করে আসলে আপনি অলমোস্ট আপনার চেহারা ঢেকে থাকে। সেই কারণে অনেক সময় আমরা আপনার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারি না। আপনি রওজা শরিফে যাওয়ার সময় সকল আশেকে রাসুলদের অনুরোধ করছি নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের কর্মী ভাইদের সহযোগিতা করবেন। অর্থাৎ আমাদের যদি পরিচয় সন্দেহ হয় আমাদের ভাইরা আপনাকে স্টপ করবেন, আপনার পরিচয়ের জন্য আপনার সাথে কথা বলবেন। আপনি নির্ভয়ে আপনার বিষয়গুলো বলে আপনি যদি তাদের সন্দেহ হয় তাদের সন্দেহটা দূর করে দিয়ে আপনি রওজাতে প্রবেশ করতে পারবেন।
আশেকে রাসুলদের কাছে আরেকটি কথা আমি বলতে চাই। সেটি হচ্ছে, ইদানিং পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের মধ্যে কিছু আশেকে রাসুল বেশ কিছু বিভ্রান্তিমূলক কথা ভিন্ন আশেকে রাসুলদের কাছে ছড়াচ্ছেন। যেটা একান্তই কাম্য নয়। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর আদর্শের সৈনিক। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে শাহ দেওয়ানবাগী বিশ্বাস করে, ভালবাসা দিয়ে আমাদের এই অন্তরের মধ্যে মোহাম্মদী ইসলামকে গেঁথে দিয়ে গেছেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই মোহাম্মদী ইসলামকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দুঃখের বিষয় আল্লাহর রাসুল (সা.) বলতেন যে, মুনাফিকের চেয়ে কাফের উত্তম। আমার মোর্শেদ কেবলাজানের বাণী মোবারকেও আপনারা শুনেছেন। আমাদের তরিকার ভিতরে কিছু শত্রু ঢুকে গেছে। এই ভিতরের শত্রুটা হচ্ছে মুনাফিক। এই মুনাফিকগুলোকে চেনা যাচ্ছে না। এখানে কিছু সাইদুর রহমানের অনুচর আছে। এখানে কিছু বিপথগামী বিপ্লবের অনুচররা আছে। তারা এখন তাদের বন্ধুবান্ধব অর্থাৎ আশেকে রাসুলের মধ্যে তাদের বন্ধুমহল যারা আছেন তাদের বিভিন্ন ভাবে তারা চাচ্ছেন যে তাদেরকে লাইনচ্যুত করার জন্যে অথবা তাদের মধ্যে একটা ভিন্নমত পোষন করার জন্যে। তাই মোর্শেদের ওফাতের পর থেকে আজ এক মাসের মধ্যে আপনারা সকলেই অবগত আছেন ফেইসবুকে নানা প্রকার অপপ্রচার, যেটাতে আমরা আসলে লজ্জিত নই, আমরা আসলে মর্মাহত। শুধু তাই নয়, যখন তারা এই ফর্মুলা কাজ করতে পারেন নাই, ফেইসবুকে এই গালাগালি এই ফর্মুলা দিয়ে একজন আশেকে রাসুলের ইমানকে সরাতে পারেন নাই। একজন আশেকে রাসুল আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর রাস্তা থেকে সরে যান নাই। তারা দ্বিতীয় পন্থা অবলম্বন করা শুরু করেছে। এখন আমাদের এই যুদ্ধের সেকেন্ড ওয়েভ চলছে। এই দ্বিতীয় পন্থাটা কী? তাদের দ্বিতীয় পন্থা তাদের বন্ধুমহল যারা আছেন তাদের কাছে তাদের এই বন্ধুমহলে তারা বিভিন্ন রকম অপপ্রচার শুরু করেছে। যাতে বন্ধুমহলে জাকের যারা আছেন তাদের কাছে যদি তিনি অপপ্রচার করেন এতে বিষয়টা হয় এইরকম, তাহলে জাকেরদের মধ্যে একটা ডিভাইডেশন তৈরী করা যায় কিনা! জাকেরদের মধ্যে একটা মতপার্থক্য তৈরী করে দুইটা তিনটা দল করার সম্ভাবনা আছে কিনা। এক তারা অপপ্রচার করছেন, বাবাজানকে হত্যা করা হয়েছে। লানত তাদের প্রতি যারা এই ধরণের অপপ্রচার করছেন। আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী আমাদের মাথার তাজ আপনারা জানেন। আমরা যেমন আল্লাহর বন্ধুকে সারা জীবন ভালবেসেছি, আপনারাও সারা জীবন আল্লাহর বন্ধুকে ভালবেসে আজকে এই পর্যন্ত এসেছি। মোর্শেদের কাছে আমাদের ভালবাসা ছাড়া, দয়া ছাড়া আরতো কিছু চাওয়ার বা পাওয়ার নাই। তারা মোর্শেদকে নিয়ে এখন মোর্শেদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য এই অপপ্রচার শুরু করেছেন যাতে আশেকে রাসুলদের মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন তৈরী করতে পারে।
অপরদিকে বাবাজানের ওসিয়ত সম্পর্কে তাদের প্রথম অপপ্রচারটা ছিল, বাবাজান কোনো ওসিয়ত করে যান নাই। আবার কিছু মানুষ বলছেন, বাবাজানের ওছিয়তে ২ ভাই সাইন করেছে। বাকী ২ ভাই সিগনেচার করে নাই। আসলে এগুলো হচ্ছে মুনাফিকি কথা। এদের কর্মকান্ড সম্পর্কে আমি অবগত আছি। আবার কোনো কোনো আশেকে রাসুল বলছেন এটা ওনাদের পারিবারিক বিষয়। এটাতে আমাদের জড়ানোর কিছু নাই। ওসিয়তের বিষয়টা হচ্ছে, ওসিয়ত মোর্শেদ কেবলাজান তাঁর পরিবারবর্গদের সামনে করেছেন এবং পরবর্তীতে ওসিয়তটা আমাদের মোর্শেদের সামনে লেখার সুযোগ হয় নাই, সত্য। মোর্শেদের বাণীইতো আমার কাছে অন্তরে আছে। সেটা লেখার প্রয়োজন পড়ে না। পরবর্তীতে মোর্শেদের ওফাতের পরে আমরা মোর্শেদকে রওজাস্থ করে আসার পরে আমরা বিপথগামী তাহমিনাকে বাদ দিয়ে মোর্শেদের ৬ সন্তান, মোর্শেদ কেবলাজানের স্ত্রীসহ বাকীরা সবাই ওসিয়তে সাইন করেন এবং একমতে ওসিয়ত মেনে নেন। তবে এখানে মেনে নেওয়ার কিছু নেই। বাবাজানই ওসিয়ত মানিয়ে গেছেন সবাইকে। অছিয়তের বিষয়ে একে একে সবার কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন। পরবর্তিতে সবাই শুধু সিগনেচার করে স্বাক্ষী থাকেন। অছিয়তের বিষয়ে সবাই মোর্শেদের সাথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পরবর্তীতে পরিবারের সকল সদস্য এই ওসিয়তনামাকে একত্রিত করে দরবার শরিফের প্যাডে লিখে সকলে সিগনেচার করে দিয়েছেন। সকলের সিগনেচারসহ কাগজ আমার কাছে আছে। আপনারা সকলেই জানেন আমাদের ছোট সাহেবজাদা হুজুর মোর্শেদের রওজাস্থ করার দিন এই ওসিয়ত পড়ে শুনিয়েছেন।
মনে রাখবেন, এই বিপথগামী সাঈদুর রহমান এবং আরো কিছু বিপথগামীরা সব এক হয়েছে। এক হয়ে তারা আমাদের আশেকে রাসুলদেরকে নক করছে। আপনাকেও ফোন করতে পারে। সতর্ক থাকুন। আপনার অফিসে সেই লোক হাজির হতে পারে। আপনার বাড়িতে সেই লোক হাজির হতে পারে। গিয়ে তারা এক এক করে এই কথাগুলো আপনার ব্রেইনে ঢুকিয়ে দেবে। আপনার মনে মধ্যে আট দশটা প্রশ্ন ঢুকিযে দিয়ে তারা চলে যাবে। তাদের উদ্দেশ্য আপনার ইমান নষ্ট করা নয়। তাদের উদ্দেশ্য আপনার আমার সকলকে নিয়ে আমাদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করে একটা ডিভাইডেশন তৈরি করে ভিন্ন দুই তিনটা মত আমাদের মধ্যে তৈরি করা। সেই জন্যই আমি এই মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী ড. কুদরত এ খোদা আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা আল্লাহ বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীকে যদি ভালোবেসে থাকেন, আপনারা যদি আল্লাহ বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীকে নিজের অন্তরে প্রতিস্থাপন করতে পারেন, যদি আপনারা আল্লাহ বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর আদর্শকে সত্যি ভালোবেসে থাকেন আর সেই আদর্শে যদি আদর্শবান হতে চান, তাহলে নিজেরা প্রস্তুত হন। এই যুদ্ধ গত এক বছর আমি কাঁধে নিয়ে চালিয়েছি। আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর বিরুদ্ধে বিপথগামীদের এই যুদ্ধে আমি কুদরত এ খোদা নিজের বুককে সামনে রেখে এগিয়েছি। এবার এই যুদ্ধ দেওয়ানবাগীর তিন কোটি আশেকে রাসুলের কাছে। এই যুদ্ধ দেওয়ানবাগীর সকল আওলাদের ঘাড়ে। আমরা সকলে আমার অবস্থানকে ঠিক রেখে আমার অন্তরকে মোর্শেদের জন্য উৎসর্গিত করে মোর্শেদের প্রেমে আমাদের অন্তরকে উদ্ভাসিত করতে হবে। আজ এই পরীক্ষা শুধু আমরা নয়, আজ এই পরীক্ষা আপনাদের; আজ এই পরীক্ষা লক্ষ কোটি আশেকে রাসুলের যারা মোর্শেদকে কত ভালোবেসেছিলেন, কার কত ডেডিকেশন আছে তার মোর্শেদর প্রতি, সেই পরীক্ষার সময় এখন।
মোর্শেদকে রওজাস্থ করে আমরা যেখানে নিজেদের শোক থেকে বের হতে পারছি না, এই মুনাফিকের দল একের পর এক ভিডিও বানিয়ে, ছবি এডিট করে, এন্টি দেওয়ানবাগি গ্রুপসহ ইউটিউব ব্লগার, ফেইসবুক ব্লগারদের কাছে পাঠিয়ে, তারা বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে প্রথমে চেষ্টা করেছে আমাদের এই মোহাম্মদী ইসলামকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে। কিন্তু আল্লাহর বন্ধু শুধু তাঁর তিন কোটি মুরিদ রেখে যান নাই। তিন কোটি আত্মার সন্তান রেখে গিয়েছেন। আর এই তিন কোটি আত্মার সন্তানকে যতই ভিডিও দেখান আর যতই ফেতনা করেন, তাদের অন্তর থেকে দেওয়ানবাগীকে সরাতে পারবেন না, এবং সেটাই হয়েছে। আশেকে রাসুলরা তাঁদের ইমানকে বলিষ্ঠ রেখে প্রমান করে দিয়েছে, তোমরা যাই বল আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীকে আমরা ভুলব না।
আমি সকল আশেকে রাসুল ভাই ও বোনদেরকে উদাত্ত আহবান জানাই, আমার বড়ো সাহেবজাদা হুজুর, সেজো সাহেবজাদা হুজুর ও ছোট সাহেবজাদা হুজুর এবং আমি, আমরা ৪ ভাই একত্রে কাজ করছি। আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নাই। যারা আপনাদের মধ্যে এই বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছে তারাই বিপথগামী। যারা এই বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করবে তারাই বিপথগামী। আমার ৩ ভাই আমাকে সহযোগিতা করছেন। আমি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমার ভাইদেরকে যেমন আমি আমার পাশে পেয়েছি, আমি এবার আমার আত্মার ভাই-বোনদেরকে আমার পাশে চাই। আর এই আত্মার ভাই-বোন হচ্ছেন আপনারা আশেকে রাসুলেরা। আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী আপনাদেরকে আত্মার সন্তান হিসেবে রেখে গেছেন। এবার এই যুদ্ধে আমি তিন কোটি আশেকে রাসুলের হাত চাই। আপনার হাত এই মোহাম্মদী ইসলামকে বলিষ্ঠ করবে। আপনার এই হাত মোহাম্মদী ইসলাম আদর্শকে বলিষ্ঠ করবে। আপনার জবান থেকে আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর কথা বের হবে। আপনার দৃষ্টিতে মানুষ আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর পথ দেখবে। আপনার চিন্তা, শক্তি, জ্ঞান মানুষকে আল্লাহকে পাওয়াবে, রাসুল (সা.)-কে পাওয়াবে।
বাবা, আমি কখনো নেতৃত্ব দেইনি আর আমি বাকী জীবনও নেতৃত্ব দিব না। মোর্শেদ বলে গেছেন, তোমাকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। আর আমি এই শব্দটাকে বলেছি, আমি বাকী জীবন গোলামী করব। বাবাজী আমি গোলাম ছিলাম। আমি এখনও গোলাম আছি। আমি আল্লাহর গোলামী করি। আমি রাসুল (সা.)-এর গোলামী করি। আমি আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর গেলামী করি। বাকী জীবন নিজেকে নিকৃষ্ঠতম গোলাম বানানোর জন্যেই কাজ করে যাব। মোর্শেদ যা বলেছেন এটা আমার ধর্ম। মোর্শেদ যা দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমার ধর্ম। আমি এই পথ বেছে নিয়েছি বাকী জীবন গোলামি করে নিজেকে আল্লাহ ও রাসুলের পথে উৎসর্গ করব সেই লক্ষ্যে।
মোর্শেদ কেবলাজান বলতেন, যখন বড়ো গাছ থাকে তখন ছোট গাছ কখনো ঝড় বুঝতে পারে না। যখন মাথার উপরে বড়ো গাছ ছিল আমরা আসলেই ঝড় বুঝতে পারি নাই। মোর্শেদ কেবলাজানের ওফাতের পরে আল্লাহর কসম, গত একটা মাস কীভাবে গিয়েছে আমার জানা নেই। এটা কঠিন।
যারাই বিরোধিতা করছেন তাদের কাছে আমি অনুরোধ করি, বাবা হক পথে চলে আসেন। ফেতনা করে কী আপনি একজন আশেকে রাসুল সরাতে পারবেন? যদি তার ইমান না থাকে আপনি তাকে সরাতে পারবেন। আর যিনি ইমানদার আছে আপনি সারা দিন না সারাজীবন চেষ্টা করেন, দেওয়ানবাগীর একজন মুরিদ সন্তানের এক জাররা পরিমান ইমান আপনি সরাতে পারবেন না।
আপনারা সকলেই জানেন এই মোহাম্মদী ইসলাম আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর শুধু একটা পথ না, তিনি এই মোহাম্মদী ইসলামকে আমাদের কাছে দিয়ে গেছেন। শুধু মোহাম্মদী ইসলাম দেন নাই। একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা তিনি তৈরি করে গেছেন। আমরা আস্তে আস্তে আপনাদেরকে সে বিষয়গুলেকে অবগত করার চেষ্টা করব। মনে রাখতে হবে, আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর একাত্তর বছর জীবনে এই মোহাম্মদী ইসলামকে তিনি চেষ্টা করেছেন যতদূর প্রচার করা যায়। তাঁর শুভ জন্মদিনের পরদিন তিনি আমাকে বললেন, “কদর! এবারের জন্মদিনে আমি যত আনন্দ করেছি তা একত্তর বছরের জীবনে আমি আশেকে রাসুলদের অন্তরে এতো আনন্দ দেখি নাই।” অর্থাৎ তিনি খুবই আনন্দিত ছিলেন আপনাদেরকে পেয়ে। আপনাদের জানার দরকার আছে এ তথ্য। তিনি আপনাদেরকে দেখে, আপনাদের অশ্রুসিক্ত নয়ন দেখে, আপনাদেরকে প্রেমের নিবেদন দেখে, আপনাদের সুরাত অর্থাৎ চেহারার রূপ দেখে, এই অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনাদের দেখে তিনি এত আনন্দিত ছিলেন যে, তিনি বলতেন, ‘আশেকে রাসুলরা যে আমাকে এত ভালোবাসে আমি জানতাম না। তাদের অন্তরে আমার জন্যে এত ভালোবাসা ছিল আমি জানতাম না। তারা আমার জন্মদিন বাড়ি বাড়ি আয়োজন করেছে, কেউ বিরিয়ানি, কেউ পিঠা, কেউ চকলেট, নতুন কাপড় দিয়েছে, আমার জানা ছিল না। আজ চোখে দেখে, স্বচক্ষে দেখে আমার অন্তর ভরে গিয়েছে।’ বিশ্বাস করেন, বিদেশের ভাইয়েরা যখন বিদেশে বসে বাবাজানকে একেকটা আয়োজন দেখাচ্ছিলেন বাবাজান বলছিলেন যে, আমার জন্মদিনে তারা এত আনন্দিত হয়েছে। আমরা বোনেরা যখন নিজের বাড়ির পিছনে দুইটা ফুল সাজিয়ে দিয়ে বসেছিলেন, নতুন কাপড় মাথায় দিয়ে পরিবার নিয়ে বসেছিলেন, তাদেরকে দেখে বাবাজান বলেছিলেন, ‘দ্যাখো, মহিলারাও পিছিয়ে নাই। তারা মোহাম্মদী ইসলামের জোয়ারে চলে এসেছে।’ খানকায়-খানকায়, মজলিসে-মজলিসে, দরবারে-দরবারে আশেকে রাসুলেরা যখন একের পর এক কথা বলছিলেন আর বলছিলেন, আমি দরবারে এই আয়োজন করেছি, খানকার ভাইয়েরা একই রকম কাপড় পড়ে, একই ড্রেস পড়ে নতুন জামা-কাপড় পড়ে বিভিন্ন আয়োজন করেছেন, আমরা প্রত্যেকটা ভিডিও দৃশ্য মোর্শেদ কেবলাজানকে দেখিয়েছি এবং উনি আপনাদের আয়োজন দেখে এত বেশি আনন্দিত হয়েছিলেন যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
আসলে উনি শেষ পর্যন্ত মুখে হাসি নিয়ে আপনাদের প্রতি ভালোবাসা রেখে গিয়েছেন। মানুষ বলে, মানুষ চলে যাওয়ার পরে মানুষের কী সম্পদ রয়ে যায়! আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী তিন কোটি আশেকে রাসুল রেখে গিয়েছেন। এই তিন কোটি আশেকে রাসুলের ছয় কোটি হাত রেখে গিয়েছেন। তিন কোটি জবান রেখে গিয়েছেন। ছয় কোটি চোখ রেখে গিয়েছেন। তিন কোটি ব্রেইন রেখে গিয়েছেন। তাঁর তিন কোটি আশেকের রাসুলের অন্তরে শাহ দেওয়ানবাগী রেখে গিয়েছেন। আর এটাকে ভাঙার ক্ষমতা কারো নাই। আর এই ব্রেইনকে ধ্বংস করার ক্ষমতা এই বিশ্বে কারো নাই। এবার আমাদের দায়িত্ব অনেক। শুধু প্রচার করাই মোহাম্মাদী ইসলামের দায়িত্ব না। আবার বলছি শুধু প্রচার করা এই মোহাম্মদী ইসলামের দায়িত্ব না। নিজের চরিত্রকে সংশোধন করতে হবে।
মোর্শেদ কেবলাজানের ওফাতের পরে আমরা এখনও শোক কাটে উঠতে পারিনি। আমাদের গোছাতে চার থেকে ছয় মাস লাগবে। এই চার থেকে ছয় মাস সকল আশেকে রাসুলকে একটু ধৈর্য্য ধরে থাকার জন্য অনুরোধ করছি। তার পরবর্তীতে, আমার বৃহত্তম পরিকল্পনা হচ্ছে, আমরা আশেকে রাসুলদের জন্য প্রত্যেকেটি দরবারে খানকা শরীফে তালিম চালু করতে চাই। কীভাবে আমরা আপনাকে আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-কে পাওয়াতে পারি, আপনি কোন পথে কীভাবে মোরাকাবা করলে রাসুল (সা.)-এর দীদার পাবেন, আল্লাহর দীদার পাবেন, আপনি সহি নামাজ কীভাবে আদায় করবেন, সহি রোজা কীভাবে রাখবেন, সহি যাকাত কীভাবে দিবেন, সহি হজ কীভাবে করবেন, প্রত্যেকটা তালিম আমরা শুরু করব। আমার ইচ্ছা আছে, শুধু দরবার খানকা নয়, অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে গ্রুপ গ্রুপ করে আশেকে রাসুলদের তালিমের ব্যবস্থা করব, যাতে আপনারা ঘরে বসে ভাই ও বোনেরা তালিমের ব্যবস্থা নিতে পারেন এবং আপনাদের চরিত্রকে পরিবর্তন করতে পারেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহর বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগী শুধু মোহাম্মদী ইসলাম দিয়ে যাননি, তিনি আমাদের চরিত্রকে সংশোধন করার জন্যও অনুরোধ করেছেন এবং সেই রাস্তাও দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। তাই আমি সকল আশেকে রাসুলদেরকে এখন থেকেই সংকল্প করতে বলছি যে, আমরা নিজেদের পাপকে সংবরণ করার চেষ্টা করি। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কেউ জানেনা আপনি কি অপরাধ করেছেন। শুধু মাত্র আপনি জানেন। মোরাকাবায় বসলে দেখবেন নানাবিধ কল্পনা আমাদের মাথায় আসে। এসব কল্পনা দূর করার জন্য ছোট্ট একটা তালিম দিচ্ছি। মোরাকাবায় বসেই মোরাকাবা শুরু করবেন না। দুই থেকে তিন মিনিট মোরাকাবা শুরু না করে, চোখটা বন্ধ করে নিজের পাপকে স্মরণ করবেন। আপনার জীবনে আপনি কী কী পাপ করেছেন, আপনি তা স্বরণ করবেন। অতঃপর মোর্শেদের উসিলা ধরে মোরাকাবায় বসে আপনি নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রর্থনা করতে থাকবেন। মনে রাখবেন, আপনি যখন আপনার পাপগুলাকে অন্যায়গুলোকে স্মরণ করবেন তখন আপনার অন্তরে ভয় ঢুকে যাবে। আপনার নিজেরই মনে হবে, এই পাপগুলোর জন্য আমার ক্ষমা প্রর্থনা করা দরকার। পাপগুলো যখন আপনার মনে হয় তখন অন্তরটা নরম হয়ে যায় এবং আল্লাহর কাছে অন্তরটা ক্ষমা পেতে চায়। আপনার অন্তর যদি নরম না হয়, মাটি যদি নরম না হয়, এই মাটি দিয়ে কোনো কিচ্ছু করা যায় না। আপনি মাটির প্লেট বানাবেন, মাটির বাসন, মাটির পট যাহাই বানান মাটির গ্লাস হবে না, যদি মাটি শক্ত থাকে। শক্ত মাটির মধ্যে যতই আপনি চেষ্টা করেন এই মাটি খাঁচায় আসবে না। তাহলে এই মাটিতে আগে পানি ঢালতে হবে। কী সেই পানি? সেই পানি হচ্ছে মোরাকাবার ফায়েজ। আপনি যখন ঐ মাটির মধ্যে ফায়েজ ঢালতে থাকবেন একের পর এক ঐ মাটি নরম হবে। আপনি মোরাকাবায় বসে যদি ঐ পানি ঢালতে থাকেন, যদি মোরাকাবায় বসে নিজের পাপগুলাকে স্মরণ করেন, দেখবেন ক্ষমা পাওয়ার জন্য নিজের মনটা আনচান আনচান করছে যে, আমি ক্ষমা চাই ক্ষমা চাই। ঐ ক্ষমা পাবার জন্যে আগে নিজের পাপগুলোকে স্মরণ করে তারপরে মোর্শেদের চেহারা স্মরণ করবেন। তখন দেখবেন আপনার মনটা আর দৌড়াবে না। মনটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। হাজির নাজির মোর্শেদ আছে। তাহলে আজকের প্রথম শিক্ষা হচ্ছে, আমরা নিজের অন্তরকে কলুষতা থেকে দূর করার জন্য এখন খেকে চেষ্টা করব মোরাকাবা করতে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে আমাদের মোরাকাবা আছে এবং রহমতের সময়ও মোরাকাবা আছে। দিনে এক ঘন্টা চেষ্টা করবেন মোরাকাবা করার। প্রত্যেকটা ওয়াক্তের মোরাকাবা যদি সময় না পান, এটলিস্ট দিনে একটা মোরাকাবায় আপনি ন্যূনতম ত্রিশ মিনিট মোরাকাবা করেন। মনে রাখবেন, পাঁচ মিনিট দশ মিনিটের মোরাকাবা আপনাকে আল্লাহকে পাওয়াবে না। যারা পাঁচ অথবা দশ মিনিটের মোরকাবা করে আল্লাহকে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের চেষ্টাটা বৃথা হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো অর্থাৎ ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়, পঞ্চ ইন্দ্রিয়, চতুর্থ ইন্দ্রিয়, ইন্দ্রিয়গুলো জাগ্রত থাকে, এগুলো ঘুমায় না। বাস্তবিক অর্থে মোরাকাবার বিষয়টা হচ্ছে আপনি যদি ত্রিশ মিনিটের নিচে মোরাকাবা করেন, তাহলে আপনি কনসেপ্টটা করতে পারেন না। আপনি যখনই চোখ বন্ধ করবেন, চোখ বন্ধ করার পরে দুনিয়ার চিন্তা মুক্ত হতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লাগে। মানে আপনি এই যে আপনার মেয়ের সাথে কথা বললেন, ওয়াইফের সাথে কথা বললেন, মার সাথে কথা বললেন, ব্যবসা থেকে আসলেন, মোরাকাবায় বসার সাথে সাথে এই কথাগুলো বা এই দৃশ্যগুলো ব্রেইনে আসতে থাকে। তখন আপনি ফোকাস হতে পারেন না। তো দুনিয়ার চিন্তা মুক্ত হতে পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় লাগে। ততক্ষনেই আমরা বিরক্ত হয়ে আবার মোরাকাবা থেকে উঠে যাই। এই জন্যে আশেকে রাসুলদের মোরাকাবায় উন্নতি লাভ হয়না। তাই আপনারা ওয়াক্তের মোরাকাবা অল্প সময় করলে, আমি অনুরোধ করছি যে, দিনে একবার কমপক্ষে ত্রিশ মিনিট মোরাকাবা করেন। যদি মাটিতে বসতে না পারেন চেয়ারে বসেন, চেয়ারে বসতে না পারলে বিছানায় শুয়ে করেন। কিন্তু মোরাকাবা করেন। এখন থেকেই মোরাকাবা করেন। কারন আমাদের যুদ্ধটা অনেক বড়। বাবাজান আমাকে বলেছিলেন যে, ‘কদর! এই যুদ্ধ কোনোদিন শেষ হবে না।’ যেহেতু যুদ্ধ শেষ হবে না, তাই প্রস্তুতি নিতে হবে। যুদ্ধে আমাদের অস্ত্র হচ্ছে, প্রথমে ইমানকে শক্ত করা, দুই নিজের অন্তরে আল্লাহকে প্রতিস্থাপন করা। আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। কারণ, আমাদেরতো মাটিতে মিশতে হবেই। আমাদের প্রত্যেকেই অন্ধকার কুঠুরিতে যেতে হবে। আমি বলি, মরার আগে মৃত্যু বিদ্যা শিখতে হবে। আর এই মৃত্যু বিদ্যার জন্যে আমাদের করনীয় হচ্ছে, নিজেদের চরিত্রকে সংশোধন করা। মোরাকাবা নিয়ে আমি একদিন বিস্তারিত আলোচনা করব
মোরাকাবাই একমাত্র ইবাদত, যে ইবাদতে আপনি কথা বলতে পারেন এবং মালিকের কথা শুনতে পারেন, অর্থাৎ বোথ ওয়ে কমিউনিকেশন। আর আল্লাহর সাথে যোগাযোগের বাকি মাধ্যমগুলো ওয়ান ওয়ে কমিউনিকেশন, অর্থাৎ এক পাশ থেকে যোগাযোগ হয়। সেই জন্যে মোরাকাবাই সর্বত্তম ইবাদত। তবে মোরাকাবার ব্যাপারে অনেকগুলো ব্যাখ্যা আছে। মোরাকাবার প্রথম ব্যাখ্যাটাই হচ্ছে, মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যা করে তাই মোরাকাবা। মানে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্যে যে কার্যক্রম করবেন সেটা মোরাকাবার মাধ্যমে। একমাত্র মোরাকাবায় আপনি আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। আপনার মনের কথাগুলো আপনার মালিককে বলতে পারেন। সেই জন্য প্রথম কাজটায় হচ্ছে মোরাকাবা করা। আমাদের অনেকের ধারনা, আমরা যোগাযোগ করতে পারি নাই। আমি আজকে আপনারা ধারনা পরিবর্তন করে দিচ্ছি। আপনার সাথে আল্লাহ যোগাযোগ করছে, আপনি বুঝতে পারছেন না। সমস্যা হচ্ছে কী, আপনি আল্লাহর পাশে বসে আছেন, আপনি টের পাচ্ছেন না। আমি আপনাকে টের পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। এই যে আমার কথা শোনার পর থেকে আপনার মনে থাকবে, আপনার সাথে আল্লাহ কীভাবে যোগাযোগ করছে। শুধুমাত্র মোরাকাবায় আপনি আপনার কথা বলতে পারেন। এখন আপনি মনে করেন একটা বিপদ আসতেছে। আপনি স্বপ্নে দেখলেন যে, আপনার এই বিপদটা আসতেছে। বা এই যে যাদের হায়াতের দোষ হয়। অনেক আশেকে রাসুল আমার সাথে যোগাযোগ করেন, হায়াতের দোষ হইছে কী মানত করব? এই হায়াতের দোষের স্বপ্নে আপনাকে কে দেখায় বলেনতো? আল্লাহ দেখায়। তাহলে স্বপ্ন, এলহাম, কাশফ এই প্রত্যেকটা রাস্তাইতো হচ্ছে আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম। পৃথিবীতে ৮০ ভাগ নবী-রাসুল আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন স্বপ্নের মাধ্যমে। আল্লাহ তাঁদের সাথে যোগাযোগ করেছেন স্বপ্নের মাধ্যমে। কিন্তু নবী-রাসুলতো স্বপ্নে তাঁর ইচ্ছার কথাতো বলতে পারেনি। স্বপ্নতো আমার কন্ট্রোলে না। আমি কথা বলতে পারিনা স্বপ্নে। নবী-রাসুলগণ আবার আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন মোরাকাবার মাধ্যমে। তাঁরা মনের কথা বলেছেন, আল্লাহ আমি এই চাই, এই চাই, এই চাই। আর ঐ মোরাকাবার কথা শুনে আল্লাহ তাঁকে স্বপ্নেযোগে এসেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তুমি এই কর, তুমি ঐ কর, এই কর। ৮০ ভাগ নবী-রাসুল অলি-আল্লাহ এই স্বপ্নের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছেন। আপনি না বোঝার কারনে বলতেছেন না আমি আল্লাহকে পাইনি। অথচ আল্লাহ আপানার স্বপ্নে আপনাকে বিভিন্ন জায়গায় আপনার সাথে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু আপনি হতাশ হয়ে গিয়ে সেটা থেকে দূরে সরে গেছেন। সেই জন্য আমি সকল আশেকে রাসুলদের কাছে বলছি যে, আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
আমি আমার ভাই বোন সকলকে সাথে নিয়ে আমি চেষ্টা করব, আপনাদের সবাইকে পাশে নিয়ে এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এবং একেক দিন, একেক বিষয়ে আলোচনা করবো। তাসাউফের বিভিন্ন দিক আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। বিশ্বাস করেন, মানুষ তত পাপ করতে পারে না, আল্লাহ তাকে যত ক্ষমা করতে পারেন। আপনি আপনার সারা জীবনে তত পাপ শিখেন নাই, আপনার মালিক আপনাকে যত ক্ষমা করতে পারেন। আপনি এই জমন, তার পরের জনম, তার পরের জনম এবং তার পরের জনম পাপ করে আসেন, আল্লাহ ক্ষমাশীল। আপনি যদি ডাকার মত ডাকতে পারেন, আপনি যদি চাওয়ার মত চাইতে পারেন। আপনি আমার মালিককে আপনার জন্য ক্ষমাশীল হিসেবেই পাবেন। তাই পাপ বড়ো বিষয় নয়, ক্ষমা চাইতে পারা, ক্ষমা চাইতে পারা, সেটা বড়ো বিষয়। তাই এখন থেকেই সংকল্প করেন যে, আমি আর পাপ করতে চাই না, আমি আর অন্যায় করতে চাই না আল্লাহ। তুমি দুনিয়াতে পাঠিয়েছ, আবার তোমার কাছে আমাকে ফেরৎ যেতে হবে। তাই তুমি আমার এই কুৎসিত চেহারা দেখবানা, কিন্তু তুমিতো দেখ তোমার বন্ধু শাহ দেওয়ানবাগীর নুরানীময় চেহারা। তুমি ঐ চেহারার উছিলায়, শাহ দেওয়ানাগীর কদমের উছিলায়, শাহ দেওয়ানবাগীর ইজ্জতের খাতিরে আমাকে ক্ষমা করে দাও। প্রতিদিন তওবা পড়েন, ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মৃত্যু যেদিন হবে, মৃত্যুর ভয় করেন না, মৃত্যুকে জয় করেন। আর মুত্যুর ভয়কে জয় করেন। কারন এই মৃত্যু যদি হয়, আর আপনি যদি পাপি হয়ে মৃত্যুবরণ করেন, আপনার ভয় আছে। আর আপনি যদি মুক্তিপ্রাপ্ত হন, এই মৃত্যু হবে আপনার আল্লাহর সাথে মিলন। আপনার মালিকের সাথে মিলন। তো আমিতো সেটাকে মৃত্যু বলতে চাই না। আমিতো সেটাকে আপনার সাথে মিলন বলতে চাই। এই মিলনে আপনি আপনার মালিকের কাছে যাবেন। আপনি যদি, আজকে নিজের বাড়িতে আছেন। আপনি যদি বিদেশ পড়েন যারা, যারা বিদেশে থাকেন, নিজের বাড়িতে গেলে বিমানটা যখন দেশের মধ্যে নামে। কেমন আনন্দ অন্তরে মধ্যে লাগে, বলেনতো দেখি? মানে মনে হয় যে, অক্সিজেন নিতে পারছি। আপনি যদি কোথাও ঘুরতে যান, পাঁচ দিন থেকে নিজের বাড়িতে আসেন। ঢোকার সময় কত আনন্দ লাগে তাই না? এই দুনিয়াতো আপনার পরীক্ষার জায়গা মাত্র। এই পরীক্ষার পরে আপনাকে বাকিটা জীবন আবার যেখান থেকে এসেছেন সেখানে সেই মালিকের কাছে যেতে হবে। আপনার বাড়িতো সেখানে। আপনার বাড়ি এইটা না। এটা ক্ষণস্থায়ী মাটির উপরে টেস্ট ম্যাচ খেলতে পাঠানো হয়েছে, পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে। আল্লাহ দেখতে চান, বান্দা তাঁকে কত ভালবাসে।”

28 COMMENTS

  1. AR SONJOY DAS ওগো দয়াময় দয়াল দরদী মহান মোর্শেদ মহান সংস্কারক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট বাবা দেওয়ানবাগী আপনি সর্বদা ছিলেন প্রতিটি গোলামের হৃদয় মন্দিরে আপনি আছেন এবং কাল কেয়ামত পর্যন্ত আপনি থাকবেন প্রতিটি গোলামের অন্তরে দয়াময় আপনিই এই হতভাগা নিকৃষ্ট গোলামদের প্রাণ…
    আপনার নূরের পরশময় পবিত্র কদম মোবারকে দয়া ভিক্ষা চাই দয়াল আপনার নির্দেশিত পথে গোলামেরা যেনো চলিতে পারি দয়া ভিক্ষা চাই দয়াময়।

  2. আমরা যেন মহান মোর্শেদ এর অসিয়ত ও মেজো সাহেবজাদা হুজুরের দিক নির্দেশনা মেনে মোহাম্মদী ইসলামের সকল কার্যক্রম করতে পারি। রাব্বুল ইজ্জৎ এর দয়া কামনা করি।

  3. অসাধারণ, দয়াল মেজ হুজুর আপনার নির্দেশনা মোতাবেক যেন আপনার আদর্শ এবং বাবাজানের আদর্শ চলতে পারি আমরা সবাই এই কামনাই করি।

  4. আলহামদুলিল্লাহ, হৃদয় শান্তি করা বানী মোবারক।

  5. আপনার নিদের্শনা যেন অক্ষরে অক্ষরে অনুতে-পরমানুতে পালন করতে পারি সমগ্র আশেকে রাসূল গনের পক্ষ হতে দোয়া চাই ! আল্লাহ আপনাকে সূস্থ রাখুন এই শুভ কামনা করি !

  6. আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সম্মানিত মেঝো হুজুরের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পথ চলার তৌফিক দান করুক।
    আমিন

  7. সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ অনলাইন প্লাটফরমের মাধ্যমে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দেওয়ানবাগ শরিফের কর্তৃপক্ষের প্রতি আমার আনুগত্য পোশন করছি।

  8. AR SONJOY DAS আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব -এ- খোদা দেওয়ানবাগী (রহঃ) এর অসিয়ত নামার প্রথম একটি অংশ….

    আমি মেজো হুজুরকে মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। আর তোমরা ৩ ভাই ও ২ বোন তাঁকে সহযোগিতা করবে।

    দয়াল দরদী মহান মোর্শেদ বাবা দেওয়ানবাগীর নূরের পরশময় পবিত্র কদম মোবারকে চিরআশ্রয় ভিক্ষা চাই দয়াময়, আমারা গোলামেরা যেনো আপনার ইমামের নির্দেশিত পথে পরিচালিত হইতে পারি দয়াময়।

  9. Ogo Doyamoy.

    Durodi Mejho Shahebzada Huzor.
    Kindly received my Million Crute Salam And Kudhom Bossy Around Of yours Noori Kudhom Mubarok Consistently.l am the loyest Sinfull servant Of Baba Dewanbagi Keblajan.

    Today my Request Around of your Holly Touch Foot,
    By your Special Merrit kindly pardon & send me from the World.

    Because l very Uneble To Stay in the Ground.when doyal Babajan Left me then I feel More Orphan.

    Kindly by your Special Merrit kindly send me from the World by your Noor-e-lman.untill Finished my lifetime kindly let me Chance Done yours servant.
    Instead of Doyal Baba Keblajan Take Care Me.Specially allways I asking your news How are you.By your Special Merrit kindly Take Care YourSelf and Stay well.Ameen.

  10. দয়াল মেজো হুজুর খুব গুরুত্বপুর্ন বানি রেখেছেন।

  11. দয়াময় দয়া ভিক্ষা চাই 🙏 যে ভাবে চললে দয়াল মুরশেদ খুশি থাকেন ,দয়া করে সে পথে চালান🙏

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here