বহু প্রাচীনকালে রোম দেশে দাকিয়ানুস নামে এক বাদশাহ ছিল। তার প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতা ছিল প্রচুর। তার ক্ষমতার দাপটে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোর রাজন্যগণ ভয়ে ছিল তটস্থ। উক্ত বাদশাহ নিজে মূর্তিপূজক ছিল এবং তার আমলে রোমের অধিবাসীদের কিছুসংখ্যাক লোক ইহুদি, কিছুসংখ্যক নাস্তিক এবং কিছুসংখ্যক ছিল পৌত্তলিক। অধিক সংখ্যক লোক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ছিল। সুতরাং একথা সুস্পষ্ট যে, বাদশাহ দাকিয়ানুসের যুগটি ছিল হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমনের পরবর্তী এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর পূর্ববর্তী যুগ। বাদশাহ নিজের শক্তির গর্বে এত অহঙ্কারী হয়ে উঠল যে, এক সময় সে নিজেকে খোদা বলে দাবি করল।
তখন পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বাদশাহ ছিলেন হযরত ঈসা (আ.)-এর এক অনুসারী, তিনি ছিলেন পরম ধার্মিক। তার এ মনোভাবের সংবাদ দাকিয়ানুসের কাছে পৌঁছে গেল। তার সৈন্যবাহিনী সব সময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকত। স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতেই তারা যে কোনো শত্রুর উপর ঝঁপিয়ে পড়ার যোগ্যতা রাখত। বাদশাহ দাকিয়ানুস পার্শ্ববর্তী দেশের বাদশাহ কর্তৃক আক্রান্ত হতে পারে খবরটি শুনার সাথে সাথে ক্ষণকালমাত্র দেরি না করে উক্ত বাদশাহর সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির পূর্বেই নিজের বিরাট বাহিনী নিয়ে উক্ত পার্শ্ববর্তী রাজ্যের উপর হামলা করে বসল। আক্রান্ত রাজ্যের সেনাবাহিনী তখন অপ্রস্তুত অবস্থায়ই তাদের মোকাবেলায় অবর্তীণ হলো। যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলো। কিছুক্ষণ যুদ্ধ চলার পরই বাদশাহ পরাজিত ও নিহত হলেন। তার সেনাদের কিছু হতাহত ও কিছু বন্দি হলো। বাদশাহর পুত্রগণও দাকিয়ানুসের হাতে বন্দি হলেন। কারো কারো মতে, নিহত বাদশাহর সাতজন পুত্র ছিলেন। তারা সকলেই পিতার ন্যায় পরম ধার্মিক ছিলেন।
বাদশাহ দাকিয়ানুস তার নিহত শত্রুর পুত্রগণকে প্রায় বন্দি দশায় রেখে তাদের উপর কতগুলো অপমানজনক ও জঘন্য কাজ চাপিয়ে দিলো। প্রাণ রক্ষার জন্য তাদেরকে তাই করতে হলো। বন্দি ভাইগণ একান্তভাবে পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে ঐ সকল কাজ করলেন। তারা গোপনে পরামর্শ করলেন যে, এ বাদশাহর অধীনে থেকে আল্লাহর উপাসনা তো করতেই পারছি না, তদুপরি সে যেভাবে নির্যাতন শুরু করেছে তাতে আরো শীগ্রই এখান থেকে আমাদের পালিয়ে যেতে হবে। একবার বের হতে পারলে আমরা প্রকাশ্য জনপদে বিচরণ না করে বরং আমরা কোনো নির্জন স্থানে আত্মগোপন করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকব। এ সিদ্ধান্ত স্থির করে তারা দাকিয়ানুসের আয়ত্ত থেকে মুক্ত হবার আশায় সুযোগের অপেক্ষায় রইলেন। তাদের শীঘ্রই একটি সুযোগ এসে গেলো।
বাদশাহ দাকিয়ানুসের পাশা খেলার খুব অভ্যাস ছিল। রাত্রিবেলা সে রাজমহল ছেড়ে বাগান বাড়িতে গিয়ে নিজের উজির, নাজির এবং অন্যান্য পদস্থ রাজ পরিষদের সাথে পাশা খেলায় যোগ দিত। যে রাতে এরূপ পাশা খেলার অনুষ্ঠান হতো, সে রাতে রাজমহলের প্রহরায় কিছুটা শিথিলতা দেখা যেত। যার নিরাপত্তার জন্য প্রহরার ব্যবস্থা, সে অন্যত্র গমন করায় প্রহরীরাও তার সাথে যেয়ে তার অবস্থান স্থলেই পাহারায় নিয়োজিত থাকত। রাজমহলেও প্রহরীরা ঐ রাতে আর খুব বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতো না। কিছুদিনের মধ্যেই রাজার পাশা খেলার জন্য তারিখ এসে পড়ল। রাজমহলের প্রহরীরা এবং অন্যান্য লোকজনসহ রাজা পাশা খেলার জন্য বাগান বাড়িতে চলে গেলো। বন্দি যুবকগণ এরূপ একটি সুযোগেরই অপেক্ষা করছিলেন। তারা অশ্বাবল থেকে কয়েকটি ঘোড়া বের করে নিয়ে সব কয়জন ভাই রাতের আঁধারে ঘোড়ায় চেপে দ্রুত ছুটে চললেন। রাতের মধ্যে তারা উক্ত রাজ্যের শেষ সীমানায় পৌঁছলেন। রাতের শেষ প্রহরে সেখানে তাদের সাথে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের কিছু প্রহরীর সাথে সাক্ষাৎ হলো। তারা যুবকদের জিজ্ঞেস করল যে, আপনারা এভাবে কোথায় চলছেন? যুবকরা বলল, আসমান ও জমিনের যিনি বাদশাহ আমরা তাঁরই সন্ধানে চলেছি। তাদের এ কথা প্রহরীদের মনের ভিতরে এক অপূর্ব প্রভাব বিস্তার করল এবং তাদের মাঝে হঠাৎ এক ভাবান্তর সৃষ্টি হলো। তারা বলল, আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে চলুন। আমরা আপনাদের সাথী হবো। এ কথা বলে তারা যুবকদের সাথে চলতে লাগল।
প্রহরীদের সাথে একটি কুকুরও ছিল। কুকুরটি যুবকদের কথা শুনে তাদের পিছু পিছু চলতে লাগল। এটি লক্ষ্য করে কাফেলার কেউ কেউ বলল, কুকুরটি এভাবে আমাদের পিছু নিয়েছে কেন, এটি আমাদের সঙ্গে থাকলে হঠাৎ ডাকাডাকি করে উঠলে লোকজন এসে সহজেই আমাদের পাকড়াও করে ফেলবে। এদিকে নিশ্চয় বাদশাহর লোকজন আমাদের গ্রেফতার করার জন্য বের হয়ে পড়েছে। তারা তখন কুকুরটিকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু কুকুরটি কিছুতেই তাদের পিছু ছাড়ল না। এ সময় আল্লাহর অসীম রহমতে কুকুরের জবান খুলে গেল। কুকুরটি মানুষের ভাষায় বলে উঠল, ‘ওহে আল্লাহর বান্দগণ! জেনে রেখ, তোমরা যে মহান আল্লাহর বান্দা, আমিও সে আল্লাহ্ তায়ালারই সৃষ্টি। তোমরা যে আল্লাহর উপাসনা করতে বের হয়েছ, আমি তাঁরই ইবাদত করার জন্য তোমাদের সাথে যেতে চাই। আমি কুকুর বলে তোমরা আমাকে ঘৃণা করো না।’
কুকুরটির মুখে এরূপ কথা শুনে তারা কুকুরটিকে আর তাড়ানোর চেষ্টা না করে বরং তাদের সঙ্গী হিসেবেই সাথে নিয়ে নিলেন। কেউ কেউ বলেন, কুকুরটি কিছুতেই তাদের পিছু ত্যাগ না করায় তারা লাঠির আঘাতে কুকুরটির পা ভেঙ্গে দিয়েছিলেন, কিন্তু কুকুরের কথা শুনে তারাই আবার হাঁটতে অক্ষম ঐ কুকুরটিকে কাঁধে তুলে নিয়ে চললেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই রাত শেষ হয়ে গেলো। এ সময় তারা একটি পাহাড়ের পাদদেশে উপনীত হলেন। একাধারে বহু সময় ধরে চলার ফলে তাঁরা সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন; ফলে তারা উক্ত পাহাড়ের একটি গুহায় প্রবেশ করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য শুয়ে পড়লেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন- ‘‘যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করল, তখন তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আপনার তরফ থেকে আমাদেরকে দয়া করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সুপথে পরিচারিত করুন।’’
এদিকে বাদশাহ দাকিয়ানুস সকালে যখন জানতে পারল যে, তার বন্দি যুবকরা রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে, তখনই কিছু অশ্বারোহী সৈন্যকে তাদের ধরে আনার জন্য চারদিকে পাঠিয়ে দিলো। তারা দ্রুতবেগে ঘোড়া ছুটিয়ে বের হয়ে পড়ল। তাদের একদল যে পাহাড়ের গুহায় যুবকরা আশ্রয় গ্রহণ করেছিল সে পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছল এবং উক্ত গুহার নিকট গিয়ে তাদের সন্ধান করতে লাগল। কিন্তু দয়াময় আল্লাহ্ তায়ালার অপূর্ব কুদরতে উক্ত গুহার মুখ এমন ক্ষুদ্র হয়ে গিয়েছিল যে, গুহার ভিতরে কোনো মানুষের প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না। শেষ পর্যন্ত বাদশাহর নিযুক্ত উক্ত সন্ধানকারী দল কোথাও যুবকদের সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে এলো। ওদিকে যুবকরা পর্বতের গুহায় গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লেন এবং দীর্ঘকাল ঘুমিয়ে রইলেন। এ যুবকরা যেহেতু দীর্ঘকাল ঘুমন্ত অবস্থায় পর্বতের গুহায় অবস্থান করেছিলেন, এজন্যই তাদেরকে আসহাবে কাহ্ফ নামে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এরা সংখ্যায় ছিলেন মোট ৭ জন। আর অষ্টমটি ছিল তাদের সঙ্গী কুকুর। তাদের নাম ছিল যথাক্রমে ১. মাকসাল, ২. তামলীখা, ৩.মারতুস, ৪. নীনুনাস, ৫. দারদুতাস, ৬. কাফাশতুহাওয়াস, ৭. মানতুফূয়াসসূস এবং ৮.কুকুরটির নাম কেতমির।
তিনশত নয় বছর পর (যথাসময়ে) যখন তারা ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন তখন তারা একে অপরকে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, আমরা কত সময় ঘুমিয়েছি? তাদের মধ্যে কেউ বললেন, একদিনের কিছু অংশ, আবার অন্য একজন বললেন, একদিন অথবা তার চেয়ে কিছু বেশি সময় ঘুমিয়েছি। এরপর সকলেই বললেন, আমরা যে কত সময় ঘুমিয়েছি তা শুধু আল্লাহ্ তায়ালাই ভালো জানেন।
তারা যখন ঘুম থেকে জেগে উঠলেন, তখন তাদের সকলেই ছিলেন ক্ষুধার্ত। সুতরাং তারা সকলে তামলীখাকে একটি মোহর দিয়ে খাদ্যদ্রব্য কিনে আনতে বললেন। ঐ মোহর নিয়ে শহরে গিয়ে কিছু রুটি কেনার পর যখন তামলীখা তা রুটি বিক্রেতাকে দিলেন, রুটিওয়ালা তা দেখে অবাক হয়ে গেল। দোকানদার জিজ্ঞেস করল, পুরোনো আমলের এ মোহর (গুপ্তধন) তুমি কোথায় পেলে? এ দেখছি প্রাচীনকালের বাদশাহ দাকিয়ানুসের আমলের মোহর। তবে যাই হোক, তুমি ভাই অবশ্যই গুপ্তধন পেয়েছ। আমাকে গুপ্তধনের অংশ দিতে হবে, নতুবা তোমাকে বাদশাহর দরবারে হাজির করব। তখন তিনি তোমার প্রাপ্ত সব মোহরই নিয়ে নেবেন।
তামলীখা রুটিওয়ালার কাছে সব বিবরণ খুলে বললেন। সে তামলীখার কথা মোটেই বিশ্বাস করল না; বরং বলল, বেশ গল্প বানিয়েছ? কিন্তু জেনে রেখ, তুমি কিছুতেই তোমার প্রাপ্ত গুপ্তধনের কথা গোপন রাখতে পারবে না। এড়াবার চেষ্টা করলে আমি তোমাকে বাদশাহর সেপাইদের হাতে সোপর্দ করব। সেই বিপদ হওয়ার চেয়ে অনেক ভালো আমাকে পাওয়া গুপ্তধনের একটা অংশ দিয়ে দাও।
তামলীখা যতই প্রকৃত ঘটনা বলতে লাগলেন, রুটিওয়ালা ততই হৈ চৈ করতে লাগল। সেখানে অনেক লোকের ভিড় জমে গেলো, শেষ পর্যন্ত ঘটনাটা বাদশাহর কানে গেলো। বাদশাহ ছিলেন খুবই ন্যায়নিষ্ঠ এবং সুশাসক। তিনি তামলীখাকে দরবারে ডেকে এনে তার নিকট বিস্তারিত ঘটনা জানতে চাইলেন। তামলীখা তার নিকট নিজেদের বিবরণ আদ্যোপান্ত বর্ণনা করলেন। তার বিবরণ শুনে বাদশাহ আশ্চর্য হলেন এবং ইতিহাসবেত্তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, বাদশাহ দাকিয়ানুস কোন যুগের বাদশাহ ছিল? তারা বলল, জাহাপনা! যে সকল কথা তামলীখা আপনার কাছে বর্ণনা করেছে তা সত্য। তা মিথ্যা বা বানোয়াট নয়। আমরা কিতাবাদির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, এদেশে নিশ্চয় এককালে দাকিয়নুস নামক বাদশাহ রাজত্ব করত। সে অত্যন্ত অত্যাচারী ছিল। তার আমলের পর এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশত বছর গত হয়েছে।
এ কথা শুনে বাদশাহ তামলীখার সাথে উক্ত পর্বতের গুহায় যেতে মনস্থির করলেন এবং বহু লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলেন। তখন তামলীখা তাকে বললেন, জাহাপনা! আপনি যদি এত লোকজনসহ এভাবে আড়ম্বরে গুহার মধ্যে প্রবেশ করেন, তাহলে হয়তো গুহাবাসী আমার সঙ্গীরা ভয় পেয়ে লুকিয়ে থাকবে। তখন আপনি আর তাদের সাথে সাক্ষাত ও আলাপ করার সুযোগ পাবেন না। তার চেয়ে আপনি সবাইকে নিয়ে গুহামুখে অপেক্ষা করুন। আমি ভিতরে গিয়ে সঙ্গীদের খবর জানাই যে, বাদশাহ দাকিয়ানুস বহু আগেই মারা গেছে। এখন একজন ধার্মিক বাদশাহর রাজত্ব চলছে। অতএব এখন তোমরা সকলেই আমার সাথে গুহার বাইরে চলে এসো।
বাদশাহ তার কথা মেনে নিলেন এবং তামলীখা গুহায় প্রবেশ করে যতদূর সম্ভব ঐ কথা তার সহচরদেরকে বললেন, কিন্তু তারা বললেন, ‘না, আমাদের আর খানা-পিনার কোনো প্রয়োজন নেই, আর আমরা দুনিয়ার প্রকাশ্য জায়গায়ও যেতে চাই না। আমাদের এখানে থেকে আল্লাহর কাজে ব্যস্ত থাকাই অনেক ভালো।’ এ কথা বলে আবার তারা গুহায় শুয়ে পড়লেন। তারা এখনো সেখানে শায়িত আছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবেন।
বাদশাহ গুহার মুখে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে যখন দেখলেন, কেউই আর বের হয়ে আসছে না, তখন তিনি নিজেই তার লোকজনসহ গুহার মধ্যে প্রবেশ করতে মনস্থ করলেন, কিন্তু দ্রুত আল্লাহর কুদরতে পাহাড়ের গুহার মুখটি বন্ধ হয়ে গেলো। বাদশাহর ইচ্ছা আর পূর্ণ হলো না, তখন বাদশাহ সেখান থেকে ফিরে এলেন। এরপর তিনি ঐ জায়গায় একটি স্মৃতিসৌধ হিসেবে মসজিদ ও গীর্জা নির্মাণ করে দিলেন।
এভাবেই মহান রাব্বুল আলামিন হযরত ঈসা (আ.)-এর অনুসারী মু’মিন বাদশাহর সাত সন্তানকে জালিম বাদশাহর নিষ্ঠুর অত্যাচার থেকে রক্ষা করেন এবং তিনশত নয় বছর ঘুম পাড়িয়ে তাদেরকে স্মরণীয় করে রাখলেন। যুগে যুগে এভাবেই মহান রাব্বুল আলামিন নবি, রাসুল, আওলিয়ায়ে কেরাম ও তাঁদের অনুসারীদের রক্ষা করে থাকেন।
সুবাহানাল্লা। হে মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের কে তুমি দয়া করে তোমার প্রিয় বন্ধুর কদম মোবারকে আশ্রয় ভিক্ষা দান করো আমিন
অনেক সুন্দর ঘটনা জানতে পারলাম যা কোরআনে এসেছে , শুকরিয়া