আশেকে রাসুল দলিলুর রহমান, কুমিল্লা জেলার অধিবাসী। বর্তমানে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ির শেখদীতে বসবাস করেন। ১৯৯৫ সালে মোহাম্মদী ইসলামের সবক নেওয়ার পর থেকে তিনি দরবার শরীফে নিয়মিত খেদমত করতেন। বিশেষ করে তিনি মাহে রমজানে বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে দৈনিক ইফতার ব্যবস্থাপনা বিভাগের দায়িত্ব তার উপর ন্যাস্ত ছিল।
২০০৭ সালের ২৫ রমজানের ঘটনা। সেদিন বাবে রহমতে এক হাজার লোকের ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতার সামগ্রীর কয়েকটি আইটেম দিয়ে এক একটি প্লেট তৈরি করেন। যথাসময়ে ইফতারের প্লেট বিতরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে এক হাজার লোকের সবার কাছে ইফতারের প্লেট পৌঁছে যায়। মাত্র পঁচিশটি প্লেট উদ্বৃত্ত হয়। এমন সময় তাদের কাছে সংবাদ আসে যে, এইমাত্র দুটি বড়ো বাসভর্তি লোক বাবে রহমতে মুর্শেদ কেব্লাজানের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য এসেছে। তাদের সবাইকে ইফতার করাতে হবে। আশেকে রাসুল দলিলুর রহমান তখন চিন্তায় পড়ে যায় যে, পঁচিশ প্লেট তাবারুক দিয়ে দুগাড়ির ১২০ জন লোককে কীভাবে ইফতার করাবে? তখন মনে মনে আল্লাহ্র বন্ধু, যুগের ইমাম, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের অসিলা ধরে আল্লাহ্কে বলেন- “হে জগতের মালিক! আমি তো আপনার বন্ধুর ইজ্জত রক্ষা করতে পারবো না। আপনি দয়া করে আপনার বন্ধুর ই্জ্জত রক্ষা করুন। অতঃপর আমি আমার সাথের ভাইদেরকে বলি- ‘আপনারা আজিজির সাথে নতুন লোকদের প্লেট দিতে শুরু করুন। কোনো ভাই প্লেট গুণবেন না।” ‘অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, প্লেট দিতে দিতে নতুন আসা ১২০ জনের সবাইকে প্লেট সরবরাহ করলেন। তারপরও সাত প্লেট ইফতারের তাবারুক বেঁচে গেল। ইফতারের পরে এ ঘটনা মহান মুর্শেদকে জানালে তিনি দয়া করে বললেন- ‘‘আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব। বান্দা যদি সঠিক নিয়মে আল্লাহ্কে ডাকতে পারে, তবে সে নিশ্চিত আল্লাহর সাহায্য পাবেই।”
আমিন