অনলাইন ডেস্ক: একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন গ্রহণ আগামী ৯ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে এই ভর্তি কার্যক্রম চলবে। রবিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে যেন সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে। কোভিড-১৯-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই হয়তো ভর্তি ফি একসঙ্গে দিতে পারবে না। সেক্ষেত্রে তারা যেন কিস্তিতে ভর্তি ফি দিতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, এবার শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের সুযোগ থাকছে না। শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ পছন্দ করতে পারবে। তাদের মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে কলেজ নির্ধারণ করবে আন্ত শিক্ষা বোর্ড। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই আবেদনের বিস্তারিত তথ্য শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য গত মার্চ মাসেই নীতিমালা প্রকাশ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই নীতিমালা অনুযায়ীই ভর্তি কার্যক্রম চলবে। শুধু ভর্তি কার্যক্রমের সময় পরিবর্তন হবে। এবার ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বিকেএসপি কোটা বহাল থাকছে। তবে অন্যান্য কোটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তা প্রকাশ করা হয় ৩১ মে। এবারের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী। করোনার মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ করলেও একাদশের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারছিল না আন্ত শিক্ষা বোর্ড। তবে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এবার একাদশে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।