অনলাইন ডেস্ক: কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পুরো বিশ্বের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতি খাতকে নড়বড়ে করে দিয়েছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। এখন পর্যন্ত করোনায় বিশ্বে মারা গেছে ৩ লাখ ৩০ হাজারের অধিক। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার এবং মারা গেছে প্রায় ৪০৮ জন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ দেশটির ৭৫ ভাগ লকডাউন করা হয়। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে ১৩ মিলিয়ন মানুষ। সরকার ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল এবং ত্রাণ কার্যক্রমে ক্ষুধার্ত মানুষের হামলা চালানোর ঘটনা ঘটছে। ত্রাণ বিতরণে অনিময় নিয়ে প্রতিবেদন করায় সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হয়েছেন। গরিবের জন্য বরাদ্দকৃত চাল চুরি করায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এপ্রিলের শেষে প্রেস ইনফরমেশন ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, ৩৫ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়েছে এবং অর্থ সহায়তা পাবে ১৫ মিলিয়ন মানুষ।
অপ্রতুল সরঞ্জামকে সম্বল করেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ১৭০ মিলিয়নের জনসংখ্যার ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে অনেক মানুষ দ্রারিদ্যসীমার নিচে বসবাস করে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে, ১৮০টি দেশের মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম। এই অবস্থায় করোনার বিস্তার প্রতিরোধের চেয়ে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও আয়ের সংস্থান করাই বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। নিজের দলের সদস্যদের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের একপাশে সরিয় রেখে দেশের ৬৪ জেলায় ত্রাণ বিতরণে সরকারি কর্মচারিদের নিয়োগ করেছেন।
বাংলাদেশে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পোশাকখাত। ২.২৬ বিলিয়ন ডলার থেকে গার্মেন্টস পণ্য রফতানি কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৮ বিলিয়নে। গত বছর রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮ বিলিয়ন ডলার। বিশ্ব ব্যাংকের হিসেবে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও তেলের দাম কমে যাওয়ায় এ বছর তা কমে ১৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও ২ শতাংশ কমে যেতে পারে।
সরকারের দাবী দেশে পযার্প্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে কিন্তু কর্ম সংস্থানের দিকে জরুরী নজরদারী করার আহব্বান রইল !