করোনা প্রভাবে ই-কমার্সে বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ

অনিরুদ্ধ রুদ্র: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। করোনার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও পড়তে শুরু করেছে। মানুষ কেনাকাটা করতে শপিং মলগুলোতে কম যাচ্ছে, যেটা ই-কমার্স সাইটগুলোর জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এখন ক্রেতারা অনলাইন কেনাকাটায় ঝুঁকছে। যে কারণে গত এক মাসেই ই-কমার্সের বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে।

“আগে আমরা দিনে প্রায় ৪০ হাজার ক্রয়াদেশ পেয়েছিলাম। বর্তমানে দিনে প্রায় ৭০ হাজার অর্ডার আসছে,” বলেছেন বাংলাদেশের ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল।

তিনি বলেন, বাজারের চাহিদার তুলনায় বিদ্যমান পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলির অনেক বেশি সরবরাহ সক্ষমতা রয়েছে। তাই বাড়তি চাহিদা সরবরাহ করতে তাদের অসুবিধা হবে না।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শপ প্ল্যাটফর্ম দারাজ, আজকেরডিল, পিকাবো, ক্যাল্ডাল, ক্লিকবিডি, বাগডুম, ফুডপান্ডা ডটকমের পাশাপাশি অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোও বাড়তি অর্ডার পাচ্ছে।

তবে ক্রেতারা বাংলাদেশের অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, ইবে এবং ফ্লিপকার্টের মতো জনপ্রিয় বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স সাইটগুলোর পরিষেবা পাচ্ছেন না। বৈশ্বিক সংস্থাগুলিকে শতভাগ মালিকানায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে না দেওয়ার একটি সরকারী নীতি আসলে অ্যামাজন বা ই-বেয়ের মতো শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মকে বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে বাধা দিচ্ছে। এই আইন দেশিয় প্রতিষ্ঠানগুলোর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে।

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, বাংলাদেশের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি গড়ে প্রায় ৩ শতাংশ ডেলিভারি এবং পরিষেবা চার্জ নিচ্ছে যা বিশ্বব্যাপী ব্যয়ের চেয়ে কম। স্থানীয় ই-কমার্সের বাজারের আকার প্রায় ১ হাজার ২শ কোটি টাকা এবং প্রায় ১২০টি প্রতিষ্ঠান বার্ষিক ৮শ কোটি টাকার বাজারের নিয়ন্ত্রণ করছে। তমল বলেন, “বাজারটি প্রতিবছর শতভাগেরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আরও বাড়ার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আশিকুল আলম খান বলেন, প্ল্যাটফর্মগুলির উদীয়মান চাহিদা বাজারকে আরও বড় করে তুলবে।