অনলাইন ডেস্ক: করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন অনেক প্রবাসী। এর মধ্যে কর্মস্থল থেকে দেশে ফিরতে বলায় বাধ্য হয়ে ফিরেছেন ২৯ শতাংশ প্রবাসী। দেশে ফিরে কোনো কাজ পাচ্ছেন না তারা। তাদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোও বিপদে। জীবিকার সংকটে আছেন দেশে ফেরা ৭০ শতাংশ প্রবাসী কর্মী।
দেশের ১২ জেলায় বিদেশফেরত অভিবাসীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। ‘র্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট অব নিডস অ্যান্ড ভালনারেবিলিটিস অব ইন্টারনাল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিটার্ন মাইগ্র্যান্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদনের কথা গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ২৩ শতাংশ কভিড-১৯ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এবং পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চেয়েছেন। পরিবার তাদের ফিরে আসতে বলায় ফিরে এসেছেন ২৬ শতাংশ। সীমান্ত বন্ধ করে দিলে আটকে পড়ার ভয়ে ফিরে এসেছেন ৯ শতাংশ। আইওএম বলছে, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে মোট ১ হাজার ৪৮৬ জন বিদেশফেরত অভিবাসীর ওপর জরিপটি চালানো হয়। গত মে ও জুলাই মাসে দেশের ১২টি উচ্চ অভিবাসনপ্রবণ জেলায় এ জরিপ পরিচালনা করা হয়, যার মধ্যে সাতটি জেলায় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে।
জরিপে ৫৫ শতাংশ জানান, তাদের ওপর ঋণের বোঝা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ পরিবার ও বন্ধুর কাছে ঋণগ্রস্ত, ৪৪ শতাংশ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ঋণগ্রস্ত। এমএফআই, এনজিও এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে গৃহীত ৬৫ শতাংশকে ঋণের জন্য সুদ বহন করতে হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। মহাজন বা সুদে টাকা ধার দেন- এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ ঋণগ্রহীতাকে সুদ গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ শতাংশ।
❤