করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সাধারণ ছুটি তথা লকডাউন চলাকালে সবকিছু সীমিত হয়ে পড়ার প্রভাব পড়েছে পরিবেশ-প্রকৃতিতে। বায়ু দূষণের মূল উৎস যানবাহন চলাচল ও কলকারখানা-ইটভাটায় কর্মকাণ্ড কমে গেছে। ফলে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) গত শুক্রবার সকালে দেশের রাজধানীর বাতাসের মানের তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। ঐদিন সকাল ৯টা ৭ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৩৫। একিউআই স্কোর ০ থেকে ৫০ হলে বাতাসের মান সন্তোষজনক বলে ধরে নেওয়া হয়। এই অবস্থা বাতাসে দূষণের পরিমাণ কম থাকে এবং এটাতে ভয় থাকে না। যদিও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৬৪তম অবস্থানে ছিল এই শহর। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ভারতের দিল্লি ও ইরানের তেহরান যথাক্রমে ১৬৮, ১৫৭ ও ১৫১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে, তা জানায়।
একিউআই সূচকে ৫০-এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়।
পরিবেশ একটু স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ছে।