আত্মা বা ক্বালব জিন্দা করার অর্থ কী?
উত্তর : আত্মা বা ক্বালব জিন্দা করার অর্থ হলো সর্বাবস্থায় ক্বালব আল্লাহর স্মরণ বা জিকিরে নিমগ্ন থাকা। মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘‘যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে (অর্থাৎ সর্বাবস্থায়) আল্লাহর জিকির করে।” (সূরা আলে ইমরান ৩ : আয়াত ১৯১)
আত্মার মুখে জিকির জারি না থাকলে, সে আত্মাকে মৃত আত্মা বলা হয়। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু মুসা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন-‘‘যে ব্যক্তি আপন প্রতিপালকের জিকির করে, আর যে ব্যক্তি আপন প্রতিপালকের জিকির করে না, এ উভয় শ্রেণীর উদাহরণ জীবিত ও মৃতের ন্যায়।” (বোখারী ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১৯৬)
যার ক্বালবে আল্লাহর জিকির জারি নেই, সেই ব্যক্তি বিপথগামী। মহান আল্লাহ্ বলেন-“দুর্ভোগ সে কঠিন হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য, যাদের ক্বালব আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল। আর তারাই রয়েছে সুস্পষ্ট গোমরাহীতে।” (সূরা আঝ ঝুমার ৩৯ : আয়াত ২২)
আর যিনি গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট, তিনি ইসলামের প্রকৃত পথ হতে অনেক দূরে। তিনি হাফেজ, কারি, মাওলানা, অধ্যাপক, যাই হোক না কেন। সুতরাং প্রত্যেকটি মানুষের ক্বালবে আল্লাহর জিকির জারি করা, অর্থাৎ ক্বালব জিন্দা করা ফরজ বা একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ্ বলেন- ‘‘যারা ইমান আনে এবং আল্লাহর জিকিরে যাদের ক্বালব প্রশান্ত হয়; জেনে রেখো আল্লাহর জিকিরেই কেবল ক্বালব প্রশান্তি লাভ করে।” (সূরা আর রাদ ১৩ : আয়াত ২৮)
আল্লাহর কাছে মৌখিক বা উচ্চস্বরে জিকিরের পরিবর্তে ক্বালবের জিকির অধিক পছন্দনীয়। নিজে নিজে চেষ্টা করে ক্বালবে জিকির জারি করা কখনো সম্ভব নয়। কামেল, মোকাম্মেল অলী-আল্লাহর সাহচর্যে গেলে, তিনি তওবা পড়িয়ে ক্বালবে আল্লাহর নুরের বীজ বপন করে দেন। মানুষকে সাধনার মাধ্যমে এ নুর থেকে ক্বালবে আল্লাহর জিকির স্থায়ী করে নিতে হয়।
আমিন