যে নারী বিজ্ঞানীর দিকে তাকিয়ে পুরো বিশ্ব

0
289
বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট

নারী ও শিশু ডেস্ক: সারা পৃথিবীই তাকিয়ে আছে একজন নারী বিজ্ঞানীর দিকে। তিনি হলেন অধ্যাপক সারা গিলবার্ট। নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক কিংবা কার্যকর ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য বিশ্বজুড়ে নানামুখী গবেষণা চললেও এখন পর্যন্ত তেমন কোনো কূল কিনারাই পাননি গবেষকরা। এ অবস্থায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন বিজ্ঞানী অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট দেখাচ্ছেন আলোর পথ। সারা পৃথিবীই বলতে গেলে তাকিয়ে রয়েছে তার দিকে।

সারাহ গিলবার্ট এর আগে ইবোলা ভাইরাসের সফল ভ্যাকসিন তৈরি করে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এবার করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক পরীক্ষা করে দেখছেন সারাহ ও তার দল। সারাহর নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের গবেষক দলটি গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে মানবদেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেন। প্রথম ধাপে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৫৬১ জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রয়োগ করা হবে ৫৫১ জনের শরীরে। মে মাসেই চলে আসবে ফলাফল।

সারাহ জানিয়েছেন, এটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ। মে মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপর আরও পাঁচ হাজার জনের শরীরে প্রয়োগ করা হবে। এরপর তারা সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ লাখ ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে।

বাংলাদেশের ডাক্তাররাও তাকিয়ে আছেন সারা গিলবার্টের দিকেই। তারা বলছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে শক্তিশালী হয়েও উন্নত বিশ্ব যেখানে ধরাশায়ী, সেখানে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। যদিও বাংলাদেশে মৃত্যু এখনো তেমন বেশি নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মে মাসকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন। এক্ষেত্রে সারা গিলবার্টের ভ্যাকসিন যদি কার্যকর হয়, তবে সেটি তাদের জন্য হবে স্বস্তিদায়ক।

নোভেল করোনা ভাইরাস মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। এক্ষেত্রে ক্রনিক রোগীর ফুসফুস একেবারেই কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। এ কারণে অক্সিজেন থেরাপি ছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে এর আর কোনো সেবা নেই। কিছু ওষুধ ডাক্তাররা প্রয়োগ করলেও তা কেবল রোগীর কষ্ট প্রশমন করছে। কিন্তু ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো কার্যকর ওষুধ এখনো উদ্ভাবিত হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here