ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন (সোহেল)
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেন, “তাঁর প্রতি শান্তি, যেদিন তিনি জন্মগ্রহণ করেন, যেদিন তাঁর ওফাত হবে এবং যেদিন তিনি পুনরুত্থিত হবেন।” (সূরা মারিয়াম-১৯ : আয়াত-১৫)
মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মহান আল্লাহ্ তাঁর উল্লিখিত বাণী মোবারকের দ্বারা মানবজাতির নিকট সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাঁর প্রেরিত মহামানবগণের শুভ জন্ম, ওফাত ও পুনরুত্থান মানবজাতির জন্য অবারিত রহমত ও বরকত বয়ে নিয়ে আসে। আজ যে মহামানবের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখছি, তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন- আমার মহান মোর্শেদ মহান সংস্কারক, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান এবং আওলাদে রাসুল, কুতুবুল আকতাব, দুররে মাকনুন হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম দয়াল মা (রহ.)-এর মেজো সাহেবজাদা-খাজায়েনে রহমত, সিরাজুম মুনিরার সুযোগ্য উত্তরসূরি ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর।
১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের পবিত্র রমজান মাসের শবে কদরের মহিমান্বিত রজনিতে এই ধুলির ধরায় তিনি আগমন করেন। আমার মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান প্রচারিত হযরত রাসুল (সা.)-এর সুমহান শিক্ষা ও আদর্শ সংবলিত মোহাম্মদী ইসলাম-কে বিশ্বময় প্রচারের বার্তা নিয়েই এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে তাঁর আবির্ভাব। জগতের বুকে তাঁর আগমনকে তিনি করেছেন সাফল্যমন্ডিত ও গৌরবদীপ্ত। মাত্র ৯ বছর বয়েসেই সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের আদর্শ প্রচারের দৃঢ় প্রত্যয় ও চেতনা তাঁর হৃদয় মাঝে জাগ্রত হয়। এই সুমহান চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে তিনি একের পর এক সময়পোযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তা বাস্তবায়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নেন। মহান মোর্শেদের অপার দয়ায় তাঁর ৯ বছর বয়স থেকে শুরু করে বর্তমান ৩৫ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ ২৬ বছর তাঁকে অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। যতই দেখেছি ততই মুগ্ধ হয়েছি। ধর্মীয় চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে তিনি তাঁর ব্যক্তিত্বকে করেছেন আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। তাঁর এই সুবিশাল ব্যক্তিত্ব ও অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্যের গুণাবলি তাঁকে মোর্শেদ প্রেমিকদের হৃদয়ে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তাঁর প্রতি সকলের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অকৃত্রিম, যা হৃদয় থেকে উৎসারিত । এর প্রমাণ পাওয়া যায়, যখন তিনি আশেকে রাসুলদেরকে মহান মোর্শেদের প্রেমের বাগানের মালি হওয়ার জন্য ডাক দেন, তখন সেই প্রেমের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মোর্শেদ প্রেমিকেরা মাতোয়ারা হয়ে ছুটে আসেন মহান মোর্শেদের কদম মোবারকে। তাঁর এই আহ্বান আশেক ও মাশুকের মাঝে প্রেমের জোয়ার বইয়ে দেয়। পরম প্রেমাস্পদকে পাওয়ার তীব্র বাসনা সৃষ্টি হয় মোর্শেদ প্রেমিকদের মাঝে।
যখন তিনি বাবা দেওয়ানবাগীর প্রতি ভালোবাসার ডাক দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, সেসময় অবারিত ফায়েজের ফল্গুধারা বয়ে যায় মোর্শেদ প্রেমিকদের হৃদয়ে। সেই ফায়েজ অবগাহন করে আশেকের সকল পাপ পঙ্কিলতা দূর হয়ে যায় এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন হৃদয়ে আলোকবর্তিকা প্রজ্বলিত হয়ে ওঠে। তাঁর প্রেমময় হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য মোর্শেদের প্রতি মুরিদদের সুপ্ত ভালোবাসাকে চির জাগ্রত করে তোলে। সেই ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মুরিদ নিজের জীবনের চেয়েও মোর্শেদকে ভালোবাসার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হন। মোর্শেদকে পাওয়ার তীব্র ব্যাকুলতায় মুরিদ দুই চোখের অশ্রু অঝোর ধারায় ফেলে নিজের তপ্ত হৃদয়কে শীতল করে তোলেন। সত্যিই ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর জগতের বুকে এসেছেন মোর্শেদের প্রেমের বাগানে আশেকের ফুল ফোটাতে, যেই ফুলের সৌরভে মুখরিত হয়ে উঠছে মোহাম্মদী ইসলাম, ধন্য হচ্ছে মানব জীবন।
মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরে ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর বলেন, “সবার উপরে মোর্শেদ সত্য, তাঁর উপরে নেই।” মাত্র ৭টি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত এই অমীয় বাণীটির মাহাত্ম্য ও বিশালতা অপরিসীম। এই একটি বাণী তাসাউফ জগতে অত্যুজ্জ্বল হয়ে থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত। এই সুমহান বাণীটি হৃদয়ে ধারণ করতে পারলে মোর্শেদ প্রেমিকদের বিপথগামী হওয়ার সুযোগ নেই।
ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর আধ্যাত্ম্য জগতের এক প্রেমময় মহান সাধক। তাঁর প্রতিটি বাণী আশেকের মাঝে মাশুকের প্রেম বিলিয়ে দিচ্ছে। এই প্রেম চিরন্তন ও শাশ্বত। তাইতো তিনি মোর্শেদ প্রেমিকদের মাঝে চিরন্তন এক দিক নির্দেশনামূলক বাণী প্রদান করে বললেন, “কেয়ামত পর্যন্ত মোহাম্মদী ইসলামের ‘মোর্শেদ’ থাকবেন বাবা দেওয়ানবাগী।”
তাঁর পবিত্র মুখ থেকে নিঃসৃত এই একটি বাণীই সকল ফেতনা-ফ্যাসাদকে দূরীভূত করে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথকে সুস্পষ্ট করে দিয়েছে। এই বাণীটি মোহাম্মদী ইসলামের সংবিধানের মূল রূপ রেখা, এটিকে কেন্দ্র করেই মোহাম্মদী ইসলাম কেয়ামত পর্যন্ত এগিয়ে যাবে। যারা এই বাণীর মর্মার্থকে নিজ হৃদয়ে ধারণ করতে পারবে, তারাই সুপথগামী, অর্থাৎ তারাই সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে থাকবে।
মূলত ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুরকে নিয়ে কোনো কিছু লেখার যোগ্যতা আমার নেই। দীর্ঘ ২৬টি বছর তাঁকে যেমনটি দেখেছি, সেই পর্যবেক্ষণটি উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি মাত্র। তাঁর ধ্যান-জ্ঞান সর্বদা এটি যে, কীভাবে বাবা দেওয়ানবাগীর আদর্শকে বিশ্বময় প্রচার করা যায়? শিক্ষা জীবন অত্যন্ত সফলতার সাথে সুসম্পন্ন করার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। অতঃপর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের সুমহান শিক্ষা, আদর্শ, সংস্কার, ধর্মীয় ও মানবতাবাদী দর্শন ইত্যাদি বিষয়গুলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চালান। এক্ষেত্রেও তিনি সফল হন। তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান প্রদত্ত মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফায় বর্ণিত লতিফায়ে ক্বালব, রূহ, ছের-সহ ১৩টি সবকের বিস্তারিত বিরবণ পড়ছেন। তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের এলমে তাসাউফ জগতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন- মোরাকাবা, ফায়েজ, কাশফ্ ইত্যাদি সরাসরি শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাঁর এই প্রচেষ্টায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি ক্বালবি বিদ্যা সম্পর্কে ধারণা লাভ করছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের আদর্শ গ্রহণ করেছেন।
ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুরের অন্যতম গুণ হলো তিনি সহজেই সর্বস্তরের মানুষের সাথে মিশতে পারেন। একবার তাঁর সাথে যে কথা বলে, সে তাঁর ভক্ত হয়ে যায়। আমাদের আরামবাগ-ফকিরেরপুল এলাকার অনেক এলাকাবাসী যাদের দরবার শরীফে আসার সময়-সুযোগ হয় না, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুরকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। মূলত তিনি এটি অর্জন করেছেন তাঁর স্বীয় অসাধারণ গুণাবলির মাধ্যমে। মানুষের প্রতি দরদ ও গুণগুলো জাকের ও বেজাকের উভয় পক্ষের নিকট তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
একটি বিষয় উপস্থাপন করতেই হচ্ছে, তা হলো- কোনো মোর্শেদ প্রেমিক যখন বিপদের সম্মুখীন হন, আর এই সংবাদটি যদি ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুরের নিকট পৌঁছায়, তখন তিনি অস্থির হয়ে ওঠেন তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য। এমনকি নিজেই ছুটে যান দয়াল বাবাজানের নিকট বলার জন্য। এমন অসংখ্য ঘটনা আমার চোখের সামনেই ঘটেছে, আমি এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী। শুধু তাই নয়, কোনো মোর্শেদ প্রেমিক ইন্তেকাল করলে তার মুক্তির জন্য তিনি দয়াল বাবাজানের নিকট সুপারিশ করে থাকেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করছি যে, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে আমার এক নিকটাত্মীয় মারা যায়, সেসময় ড. মেজো হুজুর মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। এই সংবাদ শুনে তিনি তৎক্ষণাৎ বাংলাদেশে ফোন করে দয়াল বাবাজানের নিকট তার রূহের মুক্তির জন্য সুপারিশ করেন। এমনই মানব দরদি ড. মেজো হুজুর। তিনি মোর্শেদ প্রেমিকদের আস্থা, বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসার এক মূর্ত প্রতীক। তাঁর কাছে মন খুলে সব কিছু বলা যায়। কেননা তিনি মোর্শেদ প্রেমিকদেরকে ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। তিনি মোর্শেদের দরবারে মুরিদকে গোলামিতে সম্পৃক্ত করতে এমন প্রেরণাদায়ক বক্তব্য প্রদান করেন, যা শুনে মুরিদ হৃদয় উজার করে গোলামিতে নিয়োজিত হন। মুরিদের উদ্দেশ্যে তাঁর স্নেহমাখা আলোচনা সকল আমিত্ব ও অহংকারকে বিসর্জন দিয়ে মোর্শেদের দরবারে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্য প্রেরণা জোগায়। সত্যিই অতুলনীয় বিশাল হৃদয়ের অধিকারী এক মহামানব ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর। তাঁকে জানাই সালাম ও কদমবুসি।
আজ আমার মনে পড়ছে আমি যখন ২০০২-২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাবে রহমত ৫ম তলায় থাকতাম, সেসময় ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর আমাকে-সহ অনেক আশেকে রাসুল ভাইদেরকে নিজেই মোরাকাবার তালিম দিতেন। প্রতিদিন রাতে তিনি আমাদেরকে নিয়ে মোরাকাবায় বসতেন। তাঁর নিকট থেকে মোরাকাবার তালিম গ্রহণ করে বহু আশেকে রাসুল মোরাকাবার প্রকৃত স্বাদ উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। তিনি সর্বদা বলেন যে, সাধনা ও গোলামি এই দুটির সংমিশ্রণই মুরিদকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। তাই তিনি সাধনা রিয়াজতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকেন।
ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর ইতোমধ্যে তাসাউফ জগতের একজন সুলেখক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ছাত্রাবস্থায় তাঁর লেখা ‘মোর্শেদের দরবারে মুরীদের করণীয়’ নামক অনবদ্য কিতাবটি তরিকত জগতের এক মাইল ফলক হয়ে আছে। অনেক ইসলামিক পণ্ডিতও তাঁর এই কিতাবটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। ধর্মের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁর লেখা প্রবন্ধগুলো মোর্শেদ প্রেমিকদের আত্মার খোরাক জোগায়। সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত তাঁর কিতাব ও প্রবন্ধগুলো এত সুখপাঠ্য যে, পাঠকদের বারবার পড়তে বাধ্য করে।
এই বছরের শুরুতে একদল বিপথগামী যখন দরবার শরীফে ফেৎনা করার অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছিল, ঠিক তখনই ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর শক্ত হাতে এর প্রতিরোধ করেন। বাবা দেওয়ানবাগীর অপার দয়া নিয়ে তিনি বিপথগামীদের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচন করে দেন। মহান মোর্শেদের আদর্শকে সমুন্নত রাখার জন্য সেসময় তাঁর অসীম সাহসিকতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল সকল প্রশংসার ঊর্ধ্বে। তাঁর সময়োপযোগী ভূমিকা মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ণালি অগ্রযাত্রাকে করেছে আরো গতিশীল ও বেগবান। মহান মোর্শেদের আদর্শ রক্ষার ব্যাপারে তিনি অকুতোভয় বীর সেনানী। শত বাধা বিপত্তি ও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি বাবা দেওয়ানবাগীর সুমহান শিক্ষা ও আদর্শ প্রচারে বদ্ধ পরিকর। তিনি হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে প্রস্তুত, কিন্তু বাবা দেওয়ানবাগীর ৩৫ বছরের পরিশ্রমের মোহাম্মদী ইসলামকে আবারও কারবালার ঘটনার মতো হতে দিবেন না। তাঁর এই প্রত্যয় দীপ্ত মনোভাব মোর্শেদ প্রেমিকদের মনোবলকেও বৃদ্ধি করছে বহুগুণে। লক্ষ লক্ষ মোর্শেদ প্রেমিক দু’হাত তুলে তার সম্মুখে দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন যে, নিজেদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা বাবা দেওয়ানবাগীর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করেই বেঁচে থাকবেন; কোনো বিপথগামীদের তারা প্রশ্রয় দিবেন না। ড. মেজো হুজুরের পক্ষেই সম্ভব হয়েছে মুরিদের ভিতরের এই চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে। আর লক্ষ লক্ষ মোর্শেদ প্রেমিকদের এই দীপ্ত ঘোষণায় বিপথগামীরাও বুঝতে পেরেছে যে, সত্যকে কখনোই টলানো যাবে না, সত্য চিরকালই সুন্দর, বরং মিথ্যাই ধ্বংস হবে।
মোহাম্মদী ইসলামকে রক্ষার জন্য ড. মেজো সাহেবজাদা হুজুর যে অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন, এইজন্য সকল মোর্শেদ প্রেমিকদের পক্ষ থেকে তাঁর কদম মোবারকে জানাই লক্ষ কোটি শোকরিয়া। হে ড. মেজো হুজুর! মহান মোর্শেদ দয়া করে যে প্রশংসা ও মর্যাদার আসনে আপনাকে অধিষ্ঠিত করেছেন, সেই তুলনায় আমার লেখনীর ভাষা অনেক দুর্বল। আপনার শান-মান শব্দ ভাণ্ডার দিয়ে অলংকৃত করতে পারছি না। আপনার মর্যাদা শব্দ ভান্ডারের অনেক ঊর্ধ্বে, তা কেবল হৃদয়ের ভাষা দিয়েই উপলব্ধি করা যাবে। তবুও এই অধম আপনার মহৎ হৃদয়ের বিশালতাকে এইভাবে ব্যাখ্যা করবে- “আকাশ আমায় ডেকে বলে আপনার মতো উদার হতে; আকাশ নাকি হেরে গেছে আপনার উদারতার কাছে! পাহাড় আমায় ডেকে বলে আপনার মতো অটল হতে; পাহাড় নাকি হেরে গেছে আপনার অটলতার কাছে!”
পরিশেষে বলব- হে ড. মেজো হুজুর! শুভ জন্মদিন। আমিন।
[লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, দি পিপলস্ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ]
আলহামদুলিল্লাহ
আমাদের মহান মোর্শেদ যেমন কারবালায় হারিয়ে যাওয়া নূরে মোহাম্মদিকে আবার জগতের বুকে প্রতিষ্ঠিত করে প্রত্যেক আশেকের হৃদয়ে দয়াল রাসুল (সাঃ) কে বসিয়েছেন ঠিক তেমনি মুরিদের ক্বালবে আপন মোর্শেদকে প্রতিষ্ঠা করার মতো কঠিন কাজটি তিনি করে যাচ্ছেন সারাটি জীবন ধরে। মোর্শেদ প্রতিষ্ঠা করার যুদ্ধে সিপাহসালার হয়ে একদল যোদ্ধাকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন সেই বাল্যকাল থেকে । মোর্শেদ কে কিভাবে ভালোবাসতে হয় তা মুরিদকে শিখিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আজ সেই মহামনবের শুভ জন্মদিন স্বরণে উনাকে জানাই মোবারকবাদ এবং আশেকে রাসুল ভাই-বোনদের জানাই 💐💐💖 সালাম !💝💖💐💐
আলহামদুলিল্লাহ্, ঈদ মোবারক দয়াল মেজ সাহেবজাদা হুজুর এর শুভ জন্মদিনে মহান মালিকের কাছে প্রার্থনা জানাই তিন জেন দয়া করে তাঁর হায়াত মোবারক বাড়িয়ে দেন আমিন।
মেজো হুজুরের শুভ জন্মদিন উছিলা তাকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ
alahmdulillah,
happy birthday
Eid mobarak
,🙏আমিন,🙏
মেজো হুজুরের শুভ জন্মদিনে, জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ ।
ঈদঁ মোবারক !