পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) অনুষ্ঠান ধুমধামের সাথে পালন করুন

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) অনুষ্ঠান ধুমধামের সাথে পালন করুন

ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)
বিশেষ সংবাদদাতা: রবিউল আউয়াল মাস হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনের মাস। এই মাস ভালোবাসার মাস, আনন্দের মাস, উৎসাহের মাস, নিয়ামতের মাস, রহমতের মাস, বরকতের মাস। যাঁকে সৃষ্টি করা না হলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করা হতো না। হযরত রাসুল (সা.)-এর উপমা দিতে গিয়ে রাব্বুল আলামিন বলেন, আমি জ্বলন্ত প্রদীপের মতো, আর আমার রাসুল জ্বলন্ত প্রদীপ। হযরত রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসার নাম ইমান। যে রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসতে পারলে আপনি-আমি ইমানদার হতে পারি। হযরত রাসুল (সা.) নিজেই তাঁকে ভালোবাসা সম্পর্কে বলেন- তুমি যদি আমাকে ভালোবাসতে চাও তাহলে তোমার পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান এবং সকল মানুষের চেয়ে যদি আমাকে বেশি ভালোবাস, তাহলে তুমি ইমানদার। যে রাসুল (সা.)-কে আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের শাফায়েতকারীরূপে পাঠিয়েছেন; রাসুল (সা.)-কে পাওয়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর অস্তিত্বকে খুঁজে পেয়েছি।
মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাণী মোবারক প্রদান করতে গিয়ে এই কথা বলেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, যে রাসুল (সা.)-এর কথা রাব্বুল আলামিন বারংবার বলেছেন যে, যদি তুমি আমাকে অনুসরণ করতে চাও অর্থাৎ আল্লাহ্কে অনুসরণ করতে চাও, তাহলে নবি মোহাম্মদ মোস্তফা আহমদ মোজতবা (সা.)-কে অনুসরণ করো। এই যে আল্লাহ্ তায়ালা হযরত রাসুল (সা.)-কে এত মর্যাদা দিলেন; যে রাসুল (সা.)-এর কাছে আল্লাহ্ তায়ালা তার সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কুরআনুল মাজিদ নাজিল করলেন। হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্ম এই রবিউল আউয়াল মাসে। যে মাসে রহমাতুল্লিল আলামিন আমাদের ধুলির ধরায় এসেছিলেন আমাদের মুক্তির বার্তা নিয়ে। আমাদেরকে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর পথ দেখানোর জন্যে; আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্যে। তিনি আমাদের মতো হতভাগা, নালায়েকদের আর্তনাদ শোনার জন্যে এসেছেন। তাঁর আগমন অবশ্যই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য সকল মানুষের জন্যই অত্যন্ত আনন্দের দিন, শ্রেষ্ঠদিন, রহমতের দিন, বরকতের দিন। তাই আমাদের মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী (রহ.) হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনকে বলেছেন, শ্রেষ্ঠ ঈদ। তাই আমরা বলি, সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ, দয়াল রাসুল (সা.)-এর জন্ম ঈদ।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, ঈদ শব্দের অর্থ খুশি। যে খুশিতে সারাবিশ্ব খুশি; যে খুশিতে আল্লাহ্ খুশি। আর সেই খুশি হলো নবি মোহাম্মদ মোস্তফা আহমদ মোজতবা (সা.)-এর আগমনের খুশি। তাঁর এই শুভ আগমন আমাদের জন্যে রহমত, বরকত বয়ে এনেছিল। যে আগমনের খুশিতে আল্লাহ্ খুশি, অলী-আল্লাহগণ খুশি, নবি-রাসুলগণ খুশি, তাহলে সেই খুশিতে কি আশেকে রাসুলগণ খুশি হবে, না হবে না? সেই খুশিতে আশেকে রাসুলের তো সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা এবং সবচেয়ে বেশি খুশি হতে হবে। কারণ আশেকে রাসুল তো রাসুল (সা.)-এর প্রেমিক। মাশুকের জন্মদিনে আশেকের চেয়ে বেশি খুশি কি জগতে কেউ হতে পারে? তাহলে হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মদিন আমাদের জন্যে সর্বোৎকৃষ্ট দিন, সর্বশ্রেষ্ঠ আনন্দের দিন। এইদিন হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দিন এবং এই মাস আমাদের সবসময় শিক্ষা দিয়ে থাকে, আমরা যাতে হযরত রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসি। মনে রাখি যে, নবি মোহাম্মদ (সা.)-এর কারণে আজ আমি মুসলমান হয়েছি। নবি মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর কারণে আজ আমি মু’মিন হতে পেরেছি। উনার কারণে আদর্শ জীবন ব্যবস্থা পেয়েছি। সেই মহামানবের শুভ জন্মদিন এইমাসে। এইমাসে আমাদের করণীয় অনেক। আমাদের মনে রাখতে হবে, এইমাস শুধু রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ উদযাপন করা নয়, যে যখন পারেন এই মাসে রাসুল (সা.)-এর জন্মদিন উদযাপন করতে পারন। কোনো অসুবিধা নেই। একদিন শ্রেষ্ঠ কিন্তু ঐ দিনের আনন্দের উদযাপন আপনি চাইলে ভিন্ন ভিন্ন দিনেও করতে পারেন। এই মাসে জাকের ভাই ও বোনদের করণীয় হচ্ছে, এ মাস উপলক্ষ্যে বাড়ি-বাড়ি মিলাদের ব্যবস্থা করা।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আপনারা এই মাস উপলক্ষ্যে হযরত রাসুল (সা.)-এর মিলাদ পড়–ন। হযরত রাসুল (সা.)-এর গুণগান এলাকায় এলাকায় প্রচার করুন। এই মাসে আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ হবে, যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী দান সদকা করুন। হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনে যার সামর্থ্য আছে একটু অপরকে খাওয়ান। অলরেডি আমি দেখতে পাচ্ছি দেশে-বিদেশে আশেকে রাসুলেরা দান সদকা শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা ক্ষুধার্ত, দুঃস্থ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছাচ্ছেন। বাড়ি বাড়ি খাবার দিচ্ছেন, কেউ পশু জবেহ করছেন। আজকে আপনাদের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে আমি সৌদি আরবের রিয়াদে এবং দাম্মামে কনফারেন্স করেছি। দয়াল রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দাম্মামে জাকের ভাইয়েরা ২টি উট জবাই করেছেন এবং রিয়াদের জাকের ভাইয়েরা ১টি উট জবাই করেছেন। বিশ্বাস করুন, বুক গর্বে এতো বড় হয়ে গিয়েছে যে, রাসুল (সা.)-এর মাটিতে বসে আশেকে রাসুলেরা তাঁর জন্মদিন উদযাপন করবেন। ৩টি উট জবেহ করে নিজেরা আনন্দ করবেন এবং মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন। শাহ্ দেওয়ানবাগীর শিক্ষা হযরত রাসুল (সা.)-এর মাটিতে গিয়েও দেখুন প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। ইহাই তো দেওয়ানবাগীর শিক্ষা।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমরা আমাদের সকল আশেকে রাসুল ভাই ও বোনের পক্ষ থেকে, সৌদি আরবের আশেকে রাসুল ভাই ও বোনদের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই যে, আপনারা হযরত রাসুল (সা.)-এর মাটিতে যেখানে মোহাম্মদী ইসলাম করা অনেক কঠিন, সেই জায়গায় বসেও আপনারা এই মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনারা রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনে আনন্দ করছেন। আমরা সারা বিশ্বের আশেকে রাসুল আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আমাদের দেশের যে সকল জায়গায় দরবার শরীফ, খানকাহ্ শরীফ, জাকের মজলিস, এলাকায়-এলাকায়, বাড়ি-বাড়ি, যে সকল ভাইবোনেরা যে যা আয়োজন করছেন, আমি আপনাদের আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি। আপনারা যা আয়োজন করছেন, আমি আমার মালিকের কাছে আপনাদের জন্যে হাত তুলে প্রার্থনা করি, আমার মালিক যাতে দয়া করে হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনের এই আয়োজন উপলক্ষ্যে রাসুল (সা.)-এর শাফায়াত আমাদের নসিব করেন। হযরত রাসুল (সা.) যাতে বলেন, এ আমার আশেক ছিল। এ আমার শুভ জন্মদিনে আনন্দ করেছে, খুশি হয়েছে। আল্লাহ্ তুমি আমাকে ভালোবেসে আমার এই উম্মতকে ক্ষমা করে দাও। হযরত রাসুল (সা.) যাতে দয়া করে আমাদের এই শাফায়াতটুকু আমাদের করেন। আমি আমার মালিকের কাছে আপনাদের সকলের জন্যে সাহায্য চাই।
তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) আনন্দের দিন। আমরাও চেষ্টা করছি। আমরা লন্ডনে বসেও ঈদে মিলাদুন্নবির আয়োজন করতে চেষ্টা করছি। অলরেডি গত সোমবার আমার বাসায় পরামর্শ সভা হয়েছে, ঈদে মিলাদুন্নবিতে আমরা কীভাবে তাবারক বিতরণ করতে পারি? মানুষের মাঝে তাবারক বিতরণের আয়োজন করছি। অলরেডি আমরাও চেষ্টা করছি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী, আমাদের ভাইদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরাও আমাদের জায়গা থেকে কীভাবে ঈদে মিলাদুন্নবীর আয়োজন করতে পারি? দয়াল বাবাজান ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উপলক্ষে আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। আমিও ঈদে মিলাদুন্নবিতে অনলাইনে অনুষ্ঠান করবো। ঈদে মিলাদুন্নবির আয়োজন আমি চাইলে ঢাকায় অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অথবা ময়মনসিংহে অনেক বড় অনুষ্ঠান করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমি ময়মনসিংহে অনেক বড় একটি অনুষ্ঠান করলাম। আপনারা সবাই আসলেন, বিশাল আয়োজন হলো। অনেক কিছু করলাম। কিন্তু যত বড় আয়োজনই হোক না কেন, এই আয়োজন ময়মনসিংহের চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। বাইরের মানুষ এই সম্পর্কে জানবে না। আমার টার্গেট হচ্ছে, ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থাৎ হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মের আনন্দ আমি চার দেয়ালের মধ্যে করতে চাচ্ছিনা। আমি চেয়েছি আপনি ঐদিন আপনার স্ত্রীর সাথে থাকুন, ঐ দিন আপনি আপনার সন্তানের সাথে থাকুন, ঐদিন আপনি আপনার এলাকায় চলে যান। অন্যান্য ঈদের মতো একইরকমভাবে ঈদে মিলাদুন্নবিতে আত্মীয়-স্বজন সবাইকে দাওয়াত দেন। আপনার সামর্থ্য আছে আপনি একটু মুরগির মাংস করে খাওয়ান। যার সামর্থ্য আছে গরুর মাংস করে খাওয়ান। যার সামর্থ্য আছে মাছ করে খাওয়ান। যার সামর্থ্য আছে বিরিয়ানি করে খাওয়ান। যার সামর্থ্য আছে মিষ্টি খাওয়ান। যার সামর্থ্য নেই জিলাপি খাওয়ান, বাতাসা খাওয়ান। সবাইকে দাওয়াত দিন। দাওয়াত দিয়ে বলুন, ভাই কত অনুষ্ঠানে আমি তোমাদের দাওয়াত দিয়েছি, এইবার আমি হযরত রাসূল (স.)-কে ভালোবেসে তাঁর জন্মদিনে তোমাদের দাওয়াত দিচ্ছি। আসো আমরা সবাই একসাথে খাই। জাকের হোক, বেজাকের হোক। হযরত রাসুল (সা.) তো শুধু জাকেরদের জন্য নয়। সকল মুসলিম উম্মাহ, সারাবিশ্ব জাহানের মানুষের জন্য। আপনি আমাকে অপছন্দ করেন অসুবিধা নেই, আপনি আমাকে গালি দেন, অসুবিধা নেই। আমি আপনাকে ভালোবাসি। আপনি আসুন, আমার বাড়িতে একবেলা মেহমান হয়ে খাবেন। কি করা যায়, না যায় না? শুধু তাই না! পাশাপাশি আপনি চাইলে একটু বেশি করে রান্না করলেন। একটু বাটিতে বাটিতে করে প্রতিবেশীদের হাতে হাতে দিয়ে আসলেন, ভাই ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষ্যে আমি একটু মাংস রান্না করেছিলাম। এই যে, আপনার জন্যে একটু নিয়ে এসেছি। সেই মাংস পেয়ে জিজ্ঞেস করবে, ভাই কিসের মাংস? বলবেন, আজ আমার রাসুল (সা.)-এর জন্মদিন, এইজন্যে আমি আপনার জন্য একটু মাংস নিয়ে এসেছি। এই যে দেখুন প্রচার হওয়া শুরু হলো। সবার মাঝে ঈদে মিলাদুন্নবির কথা, আয়োজন ছড়িয়ে গেলো। এটিই আমি চাচ্ছি। সমাজে প্রতিষ্ঠিত না হলে, যে কোনো আঞ্চলিক দরবার শরীফে বসে যত বড় আয়োজনই করি না কেন, এর চেয়ে বড় প্রচার কি আমি করতে পারবো বলুন? এটি কি সম্ভব?
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আমার টার্গেট হচ্ছে যে, আমরা এই অনুষ্ঠান, দয়াল রাসুল (সা.)-এর জন্মদিন সারা মুসলিম উম্মাহর জন্য। আমরা যদি ঘরোয়াভাবে দরবার শরীফ, খানকাহ্ শরীফ, আশেকে রাসুল মজলিস এবং বাড়ি-বাড়ি, এলাকায়-এলাকায় অনুষ্ঠান করি। বোনেরা বলেন, প্রত্যেক অনুষ্ঠানে আমার ভাইয়েরা সুযোগ পায়, আমরা বোনেরা পাই না। কি আপনাদের মনে কষ্ট আছে না? যান এবার আপনাদের সুযোগ দিচ্ছি। এবার আপনার স্বামীকে, আপনার ভাইকে আপনার সাথে নিয়ে অনুষ্ঠান করুন। আমার রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আপনাদের সুযোগ দিচ্ছি। এই তো সুযোগ আপনাদের, হযরত রাসূল (সা.)-কে খুশি করার। কে কি পারেন, সামর্থ্য অনুযায়ী করুন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, এই মিলাদুন্নবিতে আমাদের বাবে রহমত থেকে অনুষ্ঠান হবে এবং এই অনুষ্ঠান অনলাইনে স¤প্রচারিত হবে। বাবে রহমতেই আসতে হবে বিষয়টা এরকম নয়। যাদের সুযোগ আছে বাবে রহমতে আসবেন। যাদের খানকাহ্ শরীফ কাছে, চাইলে খানকাহ শরীফে যাবেন। যারা এলাকায় থাকতে চান, তারা এলাকায় থাকবেন। যাদের আঞ্চলিক দরবার শরীফ কাছে, তারা আঞ্চলিক দরবার শরীফে যাবেন। আপনার যেখানে মনে চায় ঈদের আনন্দ করবেন। যারা দরবারের কাছে আছেন, মনে করুন আপনারা দরবার শরীফে একটু ঘুরে গেলেন যে, দরবার শরীফে আসলাম একটু ঘুরে আবার খানকাহ্তে চলে গেলাম। তবে অনুষ্ঠান সব জায়গায় চলবে।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বলেন, আপনারাই আমার আশেকে রাসুল, আমার মুখপাত্র। আমি তো বিজ্ঞাপন দিয়ে কাউকে দাওয়াত করি না, কাউকে আসতে বলি না। আমি বিজ্ঞাপন করে কাউকে হযরত রাসুল (সা.)-এর আশেক বানাই না। আমি আপনাদের তৈরি করেছি। আপনারাই আমার মুখপাত্র। আপনারাই আমার কথা জাতির কাছে বলবেন। আমার আদর্শের কথা জাতির কাছে জানাবেন। ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) আমাদের অতীব সন্নিকটে। যারা এখনো আয়োজন করেননি, আশেকে রাসুল হিসেবে এইদিনকে শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে আমাদের আয়োজন করা অতীব জরুরি। তাই এখন থেকে শুরু করুন। সবাই সবার মতো আয়োজন করুন। যাতে আমরা এই দিনকে অত্যন্ত আনন্দের সাথে উদ্যাপন করতে পারি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন।
পরিশেষে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁর বাণী মোবারক প্রদান শেষে আখেরি মোনাজাত প্রদান করেন।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *