মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না

মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না

-মন্ত্রিপরিষদ সচিব
কৃষি সংবাদদাতা: মিনিকেট নামে কোনো চাল বিক্রি করা যাবে না। চাল বস্তাজাত করার সময় বস্তার উপর জাতের নাম লিখে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শনে গিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত পৃথক হওয়ার পর সার্টিফায়েড হবে এবং জাতগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে তা কীভাবে মাঠপর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গবেষকদের উদ্ভাবিত জাতগুলো যদি বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আরও সুন্দরভাবে কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি, তবে আমাদের ফলন আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে দ্বিগুণের কাছাকাছি চলে যাবে।

পরিদর্শনকালে তার সাথে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সাইয়েদুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

অন্যান্য সচিবদের সাথে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রির উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, হাইব্রিড রাইস বিভাগ, কৌলিসম্পদ ও বীজ বিভাগ, জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, শস্যমান ও পুষ্টি বিভাগ, রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগ, খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগ, কৃষি অর্থনীতি বিভাগ, কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ, খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ফলিত গবেষণা বিভাগ, কীটতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগ, উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগ, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ এবং সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্টল পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রি মিলনায়তনে কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠপর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ-সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

কিছুদিন থেকেই মিনিকেট চাল নিয়ে মিডিয়া ও সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে মিনিকেট নামে ধানের চাষ না হলেও বাজারে প্রচুর মিনিকেট চাল পাওয়া যায়। বিভিন্ন চিকন জাতের চালকে মিনিকেট বলে বাজারজাত করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন মোটা জাতের চালকে মেশিনে ছেঁটে পলিশ করে মিনিকেট নামে বিক্রি করা হয়।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *