২০৩৭ সালে ২০তম অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ

২০৩৭ সালে ২০তম অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ

২০৩৭ সালে ২০তম অর্থনীতি হবে বাংলাদেশ

বাণিজ্য ডেস্ক: ২০৩৭ সালে বিশ্বের ২০তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে অবস্থান ছিল ৩৪তম স্থানে। ফলে বৈশ্বিক র‍্যাংকিংয়ে ১৪ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এসব তথ্য দিয়েছে ব্রিটিশ অর্থনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিবর)।
‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লীগ টেবিল ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ১৪তম সংস্করণে ২০৩৭ সালে বিশ্বের ১৯১টি দেশের কী অবস্থান থাকবে, তা নিয়ে পূর্বাভাস দেয় সংস্থাটি। এতে বলা হয়, ২০৩৭ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ হবে ভারত।

বাংলাদেশ নিয়ে সিবরের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশটির পিপিপি হিসাবে ২০২২ সালে মাথাপিছু জিডিপি সাত হাজার ৯৮৫ ডলার, যা দেশটিকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গণ্য করে। বলা হয়, করোনা মহামারির ব্যাপক ক্ষতি সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়। এ দেশের শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ডিজিটাইজেশনের ফলে দ্রুত করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়। ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এসেছে ৬.৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে আশা করা হয় ৭.২ শতাংশ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য নিম্নমুখী ঝুঁকি তৈরি করেছে।

ভারত নিয়ে সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতিতে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারত। ২০৩৫ সালেই দেশটি ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এমনকি এ বছরের পঞ্চম স্থান থেকে ২০৩৭ সালে হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ। সংস্থাটি জানায়, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৪ শতাংশ করে। পরবর্তী ৯ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৬.৫ শতাংশ করে। গতিশীল এই প্রবৃদ্ধির জোরেই ২০৩৭ সালে বৈশ্বিক র‍্যাংকিংয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, পিপিপি হিসাবে ২০২২ সালে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি আট হাজার ২৯৩ ডলার। করোনা মহামারিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটির জিডিপি সংকুচিত হয় ৬.৬ শতাংশ। কিন্তু খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় দেশটি। ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয় ৮.৭ শতাংশ। এতে দেশটি বিশ্বের দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতিতে পরিণত হয়। আশা করা হচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির মধ্যেও ভারতের প্রবৃদ্ধি আসবে ৬.৮ শতাংশ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও সাফল্য ধরে রাখতে পারবে তারা।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *