হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রবর্তিত ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম

হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রবর্তিত ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম

আশেকে রাসুল এমরান হোসাইন মাজহারী
মোহাম্মদী ইসলাম একটি যৌগিক শব্দ। মোহাম্মদ হলো হযরত রাসুল (সা.)-এর পবিত্র নাম মোবারক, আর তিনি মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে যে পরিপূর্ণ ধর্ম দিয়েছেন সেটি হলো ইসলাম। সুতরাং সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামাবন কুল কায়েনাতের রহমত, বিশ্বনবি সরওয়ারে কায়েনাত, মুফাখখারে মওজুদাত হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা আহাম্মদ মোজতবা (সা.) মানব জাতির মুক্তির জন্য যে ধর্ম প্রবর্তন করেছেন, সেটিই হলো মোহাম্মদী ইসলাম। আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “ইসলামের স্তম্ভ হলো পাঁচটি। (১) মহান আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা; (২) নামাজ কায়েম করা, (৩) জাকাত দেওয়া, (৪) হজ করা, এবং (৫) রমজানের রোজা পালন করা। (বোখারী মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১২) হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পঞ্চস্তম্ভের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ধর্মই হলো মোহাম্মদী ইসলাম। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করে- “নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম।” (সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ১৯) তাই দেখা যায় হযরত আদম (আ.) থেকে আখেরি নবি (সা.) পর্যন্ত সমস্ত নবি-রাসুল ইসলামের চিরন্তন বাণী প্রচার করেছেন। এ কারণে সূফিদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, হযরত আদম (আ.)-এর উম্মতের কালেমা ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আদামু সফিউল্লাহ’। হযরত নূহ (আ.)-এর উম্মতের কালেমা ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু নূহু নাবিউল্লাহ্’। হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর উম্মতের কালেমা ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইব্রাহীমু খালিলুল্লাহ’। হযরত মুসা (আ.)-এর উম্মতের কালেমা ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুসা কালিমুল্লাহ’। হযরত ঈসা (আ.)-এর উম্মতের কালেমা ছিল ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ঈসা রূহুল্লাহ’ আর আখেরি নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের কালেমা হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।’ অর্থাৎ সমস্ত নবি রাসুলের উম্মতই তাঁদের কালেমাতে প্রথমত তাওহিদের স্বীকারোক্তি করেছেন এবং পরবর্তীতে তারা স্বীয় নবির প্রতি অনুগত্যের সাক্ষ্য হিসেবে সে নবির নাম উল্লেখ করেছেন। ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন- “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে পূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের প্রতি আমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম।” (সূরা আল মায়িদাহ ৫: আয়াত ৩)

আমরা জানি হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে হযরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত আল্লাহর মনোনীত সকল নবি রাসুলের প্রবর্তিত ধর্মই ছিল ইসলাম। সমস্ত নবি রাসুলের ধর্মের মারেফাতের দিক অভিন্ন থাকলেও তাঁরা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সমকালীন যুগের মানুষের জন্য সময়োপযোগী শরিয়তের বিধি বিধান প্রবর্তন করছেন। অনুরূপভাবে আখেরি নবি হযরত মোহ্ম্মাদ (সা.) সকল মানব জাতির জন্য যুগোপযোগী এবং বিজ্ঞান সম্মত জীবন ব্যবস্থা প্রবর্তন করে এর নামকরণ করেছেন দ্বিনে মোহাম্মদী বা মোহাম্মদী ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তাফসীরে মাআরেফুল কোরআনে উল্লেখ রয়েছে জগতে পয়গম্বরগণ যত ধর্ম এনেছেন, নিজ নিজ সময়ে সে সবই আল্লাহর নিকট মকবুল ছিল। সুতরাং নিঃসন্দেহে সেসব ধর্মও ছিল ইসলাম। যদিও সেগুলো বিভিন্ন নামে অতিবাহিত হতো। মুসা (আ.)-এর ধর্ম, ঈসা (আ.)-এর ধর্ম তথা ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্ম ইত্যাদি। কিন্তু সবগুলোর স্বরূপ ছিল ইসলাম। যার মর্ম আল্লাহর আনুগত্য। তবে এ ব্যাপারে ইব্রাহিমি ধর্মের একটি বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি নিজ ধর্মের নাম ‘ইসলাম’ রেখেছিলেন এবং স্বীয় উম্মতকে ‘উম্মতে মুসলিমাহ’ নামে অভিহিত করেছিলেন। (তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, পৃষ্ঠা ৬৭)।

পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ ‘মিল্লাতে ইব্রাহিম’ দিয়ে ইব্রাহিমের ধর্ম বুঝিয়েছেন। ধর্মের কথা বলতে গিয়ে ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং আরবের মুশরিকরাও বলে যে, তারা ইব্রাহিমি ধর্মের অনুসারী। কিন্তু এসব তাদের ভুল ধারণা অথবা মিথ্যা দাবি মাত্র। বাস্তবে মোহাম্মদী ধর্মই শেষ জামানায় ইব্রাহিমি ধর্ম তথা স্বভাব ধর্মের অনুরূপ। (তাফসীরে মাআরেফুল কুরআন, পৃষ্ঠা ৬৮)

একটি বিষয় উল্লেখ্য যে, ইব্রাহিমি ধর্ম, মুসায়ি ধর্ম, ঈসায়ি ধর্ম কিংবা এর পূর্ব নবিদের পালিত ধর্মের মুলে ছিল ইসলাম, কিন্তু একেক নবির শরিয়ত ভিন্ন হওয়ায় ইব্রাহিমি ধর্ম, মুসায়ি ধর্ম, ঈসায়ি ধর্ম মোহাম্মদী ধর্ম বলা হয়। একদা ইবনুল কাওয়া হযরত আলী (রা.)-এর নিকট সুন্নত বিদআত জামাত এবং মতভেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। হযরত আলী (রা.) বললেন, হে ইবনুল কাওয়া, তোমার প্রশ্ন আমি বুঝেছি, তুমি জবাব বুঝে নাও। আল্লাহর শপথ সুন্নত হচ্ছে মোহাম্মদী তরিকা (মোহাম্মদী ইসলাম) আর বিদআত হচ্ছে সুন্নতকে পরিত্যাগ করা। (হায়াতুস সাহাবা ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৭) উক্ত ঘটনায় হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু-এর উক্তি মোহাম্মদী তরিকা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মোহাম্মদী ইসলামকেই বুঝিয়েছেন।

প্রকৃতপক্ষে হযরত মোহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহির বাণী আল কুরআন লাভ করেছেন এবং শরিয়তের বিধি বিধান দিয়েছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে আনিত এ শরিয়তকে ‘মোহাম্মেডান ল’ বা মোহাম্মদী আইন বলা হয়। এমনিভাবে ইতিহাস থেকে জানা যায়, মোহ্ম্মাদী ইসলামের স্বর্ণযুগ ছিল-৫৩ বছর। হযরত রাসুল (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের ২৩ বছর এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের ৩০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতগণ মোহাম্মদী ইসলামের প্রকৃত অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু উমাইয়াদের শাসনামল থেকে যখন ইসলামি খেলাফতের নাম পরিবর্তন করে উমাইয়া শাসন হিসেবে আখ্যায়িত করা হলো, তখন থেকে সুকৌশলে ইসলাম শব্দের সাথে যে ‘মোহাম্মদ’ শব্দটি ছিল তা বাদ দেওয়া হয়। এভাবে মুসলমানদের কৌশল করে হযরত মোহাম্মদ (সা.) থেকে বিচ্ছিন্ন করে সমগ্র মুসলিম জাতিকে কান্ডারীবিহীন করে ফেলা হয়েছে। তাই আজ আমরা আমাদের প্রিয় নবি (সা.)-এর নাম সংবলিত মোহাম্মদী ইসলামের কথা শুনলে চমকে উঠি। অথচ দুনিয়াতে যত ধর্ম, যত মতবাদ, যত আদর্শ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে, প্রায় সবই স্ব স্ব ধর্ম, মতবাদ ও আদর্শের প্রবর্তকদের নামানুসারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এমনকি ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন মাজহাব ও তরিকাগুলো এসব মাজহাব ও তরিকার ইমামগণের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন: ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর নামানুসারে হানাফি মাজহাব। ইমাম শাফেয়ি (রহ.)-এর নামানুসারে শাফেয়ী মাজহাব, ইমাম মালেক (রহ.)-এর নামানুসারে মালেকি মাজহাব, ইমাম আহাম্মদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর নামানুসারে হাম্বলী মাজহাব। অনুরূপভাবে গাউসে পাক হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর নামানুসারে কাদেরিয়া তরিকা, গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর নামানুসারে চিশতিয়া তরিকা, হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দী (রহ.)-এর নামানুসারে নকশবন্দিয়া তরিকা, হযরত শায়খ আহমদ মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রহ.)-এর নামানুসারে মোজাদ্দেদিয়া তরিকা এবং ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহম্মদ (রহ.)-এর নামানুসারে সুলতানিয়া মোজাদ্দেদিয়া তরিকা। অনুরূপভাবে যারা পবিত্র কুরআনের তাফসীর করেছেন, তাঁদের স্বনামে তাফসীর গ্রন্থগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। যেমন: তাফসীরে ইবনে আব্বাস, তাফসীরে ইবনে কাছীর, তাফসীরে জালালাইন, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ইত্যাদি। অন্যদিকে যারা হযরত রাসুল (সা.)-এর হাদিস সংগ্রহ করে সংকলন করছেন, তাঁদের স্বনামে হাদিসগ্রন্থ সমূহের নামকরণ করা হয়েছে। যেমন ইমাম বোখারী (রহ.) যে হাদিসের কিতাব প্রণয়ন করেছেন সেটি তার নামানুসারে বোখারী শরীফ নামকরণ করা হয়েছে। এমনিভাবে ইমাম মুসলিম (রহ.) যে হাদিসের কিতাব প্রণয়ন করেছেন, সেটি তাঁর নামানুসারে মুসলিম শরীফ নামকরণ করা হয়েছে। ইমাম তিরমিজি (রহ.) যে হাদিসের কিতাব প্রণয়ন করেছেন সেটি তার নামানুসারে তিরমিজি শরীফ নামে নামকরণ করা হয়েছে। এমনিভাবে সিহাহ্ সিত্তাহ কিতাবসমূহসহ বিভিন্ন হাদিসের কিতাবসমূহ সংকলকের নামানুসারে কিতাবের নামকরণ করা হয়েছে।

যিনি মানব মুক্তির জন্য শরিয়ত তরিকত, হাকিকত ও মারেফাত সংবলিত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে ধর্ম প্রণয়ন করলেন, এ ধর্ম প্রণেতার নাম যেহেতু মোহাম্মদ, তাই ইসলমের সাথে এর প্রবর্তকের নাম মোবারক থাকাবে এটাই বাস্তবতা। সুতরাং হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রবর্তিত ধর্ম তার নামানুসারেই ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ হবে। আর এটিই বাস্তবতা ও যুক্তিসম্মত। মোহাম্মদী ইসলাম হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মাদর্শ। হযরত রাসুল (সা.) দীর্ঘ ১৫ বছর মোরাকাবা করে মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং পরবর্তী ২৩ বছর পূর্ণাঙ্গ মোহাম্মদী ইসলাম মানব জাতিকে উপহার দিয়েছেন। তাই মহান আল্লাহ্ এ ধর্মকে হযরত রাসুল (সা.)-এর ধর্ম বলে সম্বোধন করার জন্য তাঁর প্রিয় বন্ধুকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ প্রসঙ্গে দয়াময় আল্লাহ্ বলেন- [“হে মোহাম্মদ (সা.)] আপনি বলুন- হে মানবজাতি তোমরা যদি আমার ধর্মের (মোহাম্মদী ইসলাম) ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে থাকো, তবে জেনে রেখো আমি তাদের ইবাদত করি না, যাদের ইবাদত তোমরা করো আল্লাহকে ছেড়ে বরং আমি ইবাদত করি আল্লাহর যিনি তোমাদের মৃত্যু দেন।” (সূরা ইউনুছ-১০, আয়াত ১০৪)

উল্লিখিত আয়াতে ‘দীনি’ শব্দের অর্থ হলো আমার ধর্ম অর্থাৎ মোহাম্মদ (সা.)-এর ধর্ম, আর এটিই হলো মোহাম্মদী ইসলাম। এমনিভাবে কবরে লাশ রাখার সময় যে দোয়া পাঠ করা হয় তাতেও প্রমাণিত হয় আমাদের ধর্মের নাম মোহাম্মদী ইসলাম। আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন লাশ কবরে রাখতেন, তখন তিনি বলতেন “বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসুলিল্লাহ্” অর্থাৎ মহান আল্লাহর নামে এবং তাঁর রাসুলের ধর্মের উপর (তোমাকে) রাখা হলো।” (সুনানে ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ১১১) সুতরাং মোহাম্মদী ইসলাম বলতে হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর প্রবর্তিত পূর্ণাঙ্গ ইসলামকেই বুঝায়। মোহাম্মদ তো অন্য কারো নাম নয়, যিনি আল্লাহর সাথে যোগযোগ করে পরিপূর্ণ ইসলাম মানবজাতিকে দিয়েছেন এ ধর্ম তাঁর নামানুসারে মোহাম্মদী ইসলাম হওয়াই যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত। কেননা মোহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বাস করে তাঁর নাম মোবারক সংবলিত কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” পাঠ করে মুসলমান হতে হয়। সুতরাং মোহাম্মদ (সা.) কর্তৃক প্রবর্তিত ধর্মই হলো মোহাম্মদী ইসলাম। এ মোহাম্মদী ইসলাম ইমাম হোসাইন (রা.) শাহাদতের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হযরত রাসুল (সা.) ১৯৮৯ সালের ৫ এপ্রিল সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.)-কে দায়িত্ব প্রদান করেন মোহাম্মদী ইসলামকে পুনর্জীবিত করার জন্য, তাই সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা শাহ দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজান অক্লান্ত পরিশ্রম করে হযরত রাসুল (সা.)-এর হারিয়ে যাওয়া ধর্ম মোহাম্মদী ইসলামকে সমাজের মাঝে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য তাঁকে মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী বলা হয়।

পরিশেষে রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা তিনি যেন দয়া করে তাঁর বান্দাদেরকে এই মোহাম্মদী ইসলামের আদর্শ ধারণ করার তৌফিক দান করেন। আমিন।

editor

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *